সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারের বিরোধিতার চরম ‘শাস্তি’ মায়ানমারে (Myanmar)। সংখ্যালঘু ও আদিবাসী বিদ্রোহী গোষ্ঠী অধ্যুষিত কাচিন (Kachin)প্রদেশে গানবাজনার আসরে আকাশপথে হামলা চালাল মায়ানমার সেনা। নিহত অন্তত ৮০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শিল্পী, শ্রোতা সকলেই। জানা গিয়েছে, মায়ানমারের কাচিন প্রদেশের ওই আদিবাসী বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুন্টা (JUNTA) সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, তারই ‘শাস্তি’ দেওয়া হল। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দায় মুখর সকলে।
রবিবার কাচিন প্রদেশে বড়সড় এক জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধের জলসা দেখতে হাজির ছিলেন প্রচুর মানুষজন। কাচিনের সেনা অফিসার থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। নামীদামি শিল্পীরাও যোগ দিয়েছিলেন জলসায়। মঞ্চে গানের সময় আচমকাই আকাশপথে চলে হামলা (Aerial Attack)। মুহূর্মুহূ বোমাবর্ষণ আর গুলির শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে পড়ে। বাকিরা প্রাণভয়ে পালাতে থাকেন। ততক্ষণে একে একে ৮০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গায়ক, কি-বোর্ড বাদক, মঞ্চের পিছনে থাকা সহযোগীরা রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, শুভেচ্ছা মোদি-বাইডেনের]
আসলে মায়ানমার উত্তর পার্বত্য এলাকার কাচিন প্রদেশ মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। এখানকার ‘কাচিন ইন্ডেপেন্ডেন্ট অর্গানাইজেশন’ (Kachin Independent Organisation) নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা দিবস পালনে রবিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানকার বিদ্রোহী সেনা ঘাঁটিতে। সেখানেই মায়ানমার সেনার এই হামলা। কেআইও জুন্টা সরকার বিরোধী, সশস্ত্র আন্দোলনে বিশ্বাসী। সেই কারণে আগাগোড়া সরকারের রোষানলে। রবিবার অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেখানে কেআইও-র সকলে সেখানে জমায়েত করেছিল। আর তা জানতে পেরেই মায়ানমার সেনার অতর্কিত হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পাক জয়ের পর বিরাট স্তুতি চলছেই, হার্ভের জীবনে শেষ প্রদীপটা যেন জ্বেলে দিয়েছেন কোহলি]
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) আঞ্চলিক অধিকর্তা হানা ইয়ং জানিয়েছেন, “এ ধরনের হামলা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে। মায়ানমার সেনা অকথ্য অত্যাচার শুরু করেছে। অত্যাচারিতদের পাশে আমরা আছি। তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করব।”