shono
Advertisement

নববর্ষের উপহার, মায়ানমারে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল জুন্টা

বন্দিদের মুক্তির নেপথ্যে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র!
Posted: 02:40 PM Apr 17, 2021Updated: 02:40 PM Apr 17, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাশাসনে গণতন্ত্রের দমবন্ধ করা অবস্থা মায়ানমারে (Myanmar)। সামরিক বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০ মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল জুন্টা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাবুলিওয়ালার দেশে ঝরছে রক্ত, আফগানিস্তানে সৈন্য সংখ্যা বাড়াতে পারে আমেরিকা]

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, শনিবার অর্থাৎ আজ থেকেই মায়ানমারের বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইয়াঙ্গনের ইনসেইন জেল থেকে অন্তত ৮০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর থিংগ্যান বা বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে কিছু সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয় মায়ানমারে। কিন্তু সেনাশাসনে তযমুল বিক্ষোভের মাঝেও সেই প্রথা পালন করা নিয়ে সন্দেহ ছিল। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি। আসলে গণতন্ত্রকামীদের বন্দি করার উদ্দেশেই কারাগারে জায়গা বানাচ্ছে জুন্টা।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেয় টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ আটক করা হয় নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীদের। এর পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। পালটা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এপর্যন্ত ফৌজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী। এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে একদিনে শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যার পর থেকেই চরমে পৌঁছেছে সংঘাত। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: আমেরিকাকে পালটা রাশিয়ার, বাইডেনের আধিকারিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল মস্কো]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement