সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব সাগরে জলদস্যুদের হাত থেকে ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনার রণতরী। রবিবার ইরানের নিশানধারী একটি মাছ ধরার জাহাজ অপহরণ করে সোমালি জলদস্যুরা। খবর পেয়েই অপহৃত জাহাজটি উদ্ধারের জন্য পৌঁছে যায় ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।
নৌসেনা সূত্রে খবর, এনিয়ে গত দুদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার জলদস্যু দমন অভিযানে নামে নৌবাহিনী। রবিবার রাতে তাদের কাছে খবর আসে আরব সাগরে সোমালিয়ার সশস্ত্র জলদস্যুদের কবলে পড়েছে ইরানের নিশানবাহী মাছ ধরার জাহাজ আল নাইমি। তাতে রয়েছেন ১৯ জন পাক নাবিক। সকলকে পণবন্দি করে নেওয়া হয়েছে। এর পরই অপহৃত জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় আইএনএস সুমিত্রা। সোমবার সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলের কাছে ওই জাহাজটিকে আটকে দেন নৌসেনার জওয়ানরা। জলদস্যুদের হাত থেকে সফলভাবে মুক্ত করে আনা হয় পণবন্দিদের। জাহাজটি উদ্ধারের পর ভালো করে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন নৌসেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। সকল পাক নাবিকদের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়।
[আরও পড়ুন: জুতো চাটানো, অস্বাভাবিক যৌনতায় চাপ! বন্ধুদের হাতেই নির্যাতিত নাবালক]
নৌসেনার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘এর ঠিক একদিন আগে ইরানের নিশানবাহী আরেকটি মাছ ধরার জাহাজ অপহরণ করে সোমালিয়ার দস্যুরা। সেখানে ছিলেন ১৭জন ইরানীয় নাবিক। দুদিনে সব মিলিয়ে মোট ৩৬ জন নাবিকের প্রাণ রক্ষা করেছে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।’ সোমালিয়া ও এডেন উপসাগরে জলদস্যুদের দমনে মোতায়েন থাকে এই রণতরীটি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এডেন উপসাগরে মার্শাল আইল্যান্ডের নিশানবাহী বাণিজ্যতরী এমভি জেনকো পিকার্ডির উপর ড্রোন হামলা হয়। আক্রান্ত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চাওয়া হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। খবর পেয়েই জাহাজটিকে উদ্ধারে দ্রুত পৌঁছে যায় আইএনএস বিশাখাপত্তনম। ওই জাহাজটিতে ২২ জন নাবিক ছিলেন। যার মধ্যে ৯ জন ভারতীয়ও ছিলেন।