সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতির মাঠ ছাড়তে হয়েছে ‘কাপ্তান’ ইমরান খানকে (Imran Khan)। ঘটনাপ্রবাহ বলছে, তাঁর ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে আসছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই তথা পাকিস্তানের বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আস্থা ভোটের ফল নিশ্চিত হতেই টুইটারে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। জানিয়ে দেন, “বদলা নয়, বদল চাই।”
নওয়াজপন্থী পাকিস্তান মুসলিম লিগ (PML-N) এর প্রধান শাহবাজ শরিফ টুইটারে লেখেন, “অবশেষে গত রাতে সংকটমুক্ত হয়েছে পাকিস্তান এবং দেশের সংসদ। অন্ধকার কাটিয়ে এবার এক নতুন ভোর দেখবে দেশ।” পাকিস্তানের ইতিহাস বলে, গদিচ্যুত হওয়ার পরই সে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের ঠাঁই হয় জেলে অথবা বিদেশে। নয়তো ফাঁসিকাঠে যায় গর্দান। মনে করা হচ্ছিল, সেই রীতি মেনেই আস্থা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই গ্রেপ্তার করা হবে ইমরান খানকে। সেই আতঙ্কে কপ্টারে চেপে মধ্যরাতেই ইসলামাবাদ (Islamabad) ছেড়েছেন ইমরান।
[আরও পড়ুন: কানাডায় খুন ভারতীয় পড়ুয়া, শোকপ্রকাশ বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের]
কিন্তু বদলা বা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পথে হাঁটবে না পাকিস্তানের নয়া সরকার। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন সে দেশের ‘ভাবি’ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। টুইটারে লিখেছেন, “কারোর উপর কোনও বদলা আমরা নেব না। কাউকে জেলে ভরব না। কারোর বিরুদ্ধে কোনও অনৈতিক পদক্ষেপ করা হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে।” কিন্তু শাহবাজের কথা আর কাজে কি মিল থাকবে, সেটাই এখন দেখার।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীই তাঁর মন্ত্রিত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। সেই রেকর্ড ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন কাপ্তান। কিন্তু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল ইসলামাবাদে। তবে ইতিপূর্বে কোনও পাক প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়নি। ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, ইসলামাবাদ ছেড়েছেন তিনি। এর পর কি বিদেশে আত্মগোপন নাকি জেলের অন্ধকারে দিন কাটবে তাঁর. নাকি বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজনীতির নতুন ইনিংস শুরু করবেন কাপ্তান সেটাই এখন দেখার।