সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এবার জেলেনস্কিকে খতম করা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই।’ ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার পর এমনটাই হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেব।
রাশিয়ার দাবি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতেই বুধবার আক্রমণ শানিয়েছিল ইউক্রেন। পালটা, জেলেনস্কি সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে এই ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই। তবে এই হামলায় পুতিনের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) হত্যা করার হুমকি দিয়েছেন মেদভেদেব।
রুশ সংবাদ সংস্থা TASS সূত্রে খবর, ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা নিয়ে কড়া বিবৃতি জারি করেছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেব। তাঁর হুমকি, “আবার এবার জেলেনস্কি ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের খতম করা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই।”
বুধবার টেলিগ্রামে মেদভেদেব লেখেন, ‘আজ রাশিয়ার বুকে পৌঁছে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর জেলেনস্কি ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের খতম করা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই। আত্মসমর্পণের দলিলে সই করার জন্যও তাঁকে প্রয়োজন হবে না। মনে রাখতে হবে, হিটলারও সই করার জন্য ছিল না। আমরা আমাদের মাতৃভূমি ও প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা যে কোনও মূল্যে করব। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হামলা আমাদের সবার বিরুদ্ধে হামলা।”
[আরও পড়ুন: হিজাব আন্দোলনের খবর করে জেলবন্দি! রাষ্ট্রসংঘে পুরস্কৃত তিন মহিলা সাংবাদিক]
উল্লেখ্য, বুধবার আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) সরকারি বাসভবনে। ক্রেমলিন লক্ষ্য করে উড়ে আসছে ড্রোন, এমনটাও দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। তবে পুতিনের বাসভবনে আছড়ে পড়ার আগেই ধ্বংস হয়ে যায় ড্রোন দু’টি। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই ড্রোন দুটি নষ্ট করা গিয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। হামলার পর থেকেই মস্কোর আকাশে ড্রোন উড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন শহরের মেয়র সের্গেই সোব্যানিন।সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোরাল।