সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দিন আগেই পুতিনের (Vladimir Putin) দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা (US)। এবার সেই পথে হেঁটে তাঁদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটেনও (UK)। সেই সঙ্গে রুশ (Russia) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই পুতিনের উপর চাপ বাড়াতেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পুতিনের মেয়েদের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ঘটনায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনের কথা। তাঁদের জীবন সম্পর্কে কখনওই খুব বেশি কথা প্রকাশ্যে আসতে দেননি পুতিন। কয়েক বছর আগে ২০১৫ সালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর কাছে মেয়েদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তিনটি বিদেশি ভাষায় দক্ষতা রয়েছে তাঁদের। এবং তিনি তাঁর মেয়েদের নিয়ে গর্বিত। তবে সেই সঙ্গে পুতিন পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ”আমি কখনওই আমার পরিবার নিয়ে আলোচনা করি না।”
[আরও পড়ুন: হ্যাকারের কারসাজিতে টুইটারে যোগীর মুখের বদলে বাঁদরের মুখ! শোরগোল নেট দুনিয়ায়]
তবে যেটুকু জানা যাচ্ছে তা হল, রুশ প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন স্ত্রী লিউদমিলা স্কেরেনেভার দুই কন্যাসন্তান মারিয়া ভরনোতসোভা এবং কাতেরিনা তিখনোভার বয়স যথাক্রমে ৩৬ ও ৩৫। মারিয়া পেশায় একজন চিকিৎসক এবং কাতেরিনা একজন ব্যবসায়ী। রাশিয়ায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তাঁরা। ২০১৩ সালে নৃত্যশিল্পী হিসেবে অবশ্য বেশ খ্যাতি পেয়েছিলেন কাতেরিনা। কিন্তু সেই সময় এটা জানানো হয়নি তিনি পুতিন কন্যা। পরে ২০২১ সালে ব্যবসায়ীদের একটি ফোরামেও অংশ নেন তিনি। তবে সেবারও তাঁকে পুতিনের মেয়ে হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়নি।
কেমন সম্পর্ক বাবার সঙ্গে মেয়েদের? সে সম্পর্কেও খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তবে তাঁরা পুতিনের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাননি বলেই জানা যায়। পুতিনের নাতি-নাতনিও আছে। তবে তারা সংখ্যায় কতজন কিংবা কে কোন মেয়ের সন্তান সেই তথ্যও পাওয়া যায় না। ২০১৭ সালে অবশ্য পুতিন জানিয়েছিলেন, তাদেরই একজন নার্সারি স্কুলের পড়ুয়া। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, তিনি চান তাঁর উত্তরাধিকারীরা সমাজে আর পাঁচজনের একজন হয়েই বড় হোক। সেই কারণে তাদের নিয়ে বেশি কিছু বলতে চান না তিনি।
[আরও পড়ুন: ভারতবিরোধী হামলার চক্রান্তকারী! এবার হাফিজ সইদের ছেলেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’র তকমা কেন্দ্রের]
কিন্তু কেন পুতিনের মেয়েদের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে? মনে করা হচ্ছে, পুতিনের অনেক গোপন সম্পদ রয়েছে। আর সেই গোপনীয়তা বজায় রাখতে পরিবারের উপরেই ভরসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেই কারণেই পুতিনের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
