সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিশ্বের ১২০-এর বেশি শহরের প্রবাসীরা শামিল হয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে। এবার ২৯ সেপ্টেম্বর ৩০টি দেশের ১৬০টি শহরে আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি। আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই দিন বৃহত্তম মানববন্ধনের সাক্ষী হবে পৃথিবী। এবারের বিক্ষোভের থিম, "পিতৃপক্ষে ন্যায় হলেই দেবীপক্ষের সূচনা হবে।"
গত ৮ সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজ্যারল্যান্ড, চেক রিপাবলিক. নেদারল্যান্ড ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, তানজানিয়া, জাম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ১২০টি শহরে ছড়িয়েছিল আন্দোলন। এবার আরও ৪০ শহরে দেখবে 'জনজাগরণের উৎসব'। ১৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে ইউটিউব-সহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে। কদিন বাদেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সে কথা মাথায় রেখে ২৯ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচিকে "অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার উৎসব" বলছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রবাসী আন্দোলনকারীরা বার্তা দিয়েছেন, "আমরা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ করছি, আরজি কারের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে। প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের আওয়াজ তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই থামবে না। এইবার আমাদের থিম 'পিতৃপক্ষের না হলেও, দেবী পক্ষের সূচনা'। পিতৃপক্ষ যেখানে প্রস্থান ও বিদায়ের প্রতীক, দেবীপক্ষ সেখানে আগমন ও আশার প্রতিক। আমরা এই বিদায় ও আগমনের মধ্যে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, ঠিক যেমন দেবীর আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।"
আন্দোলনকারীদের প্রকাশিত ভিডিওতে বলা হয়েছে, এবার উৎসব অন্তর্গত দেবীর জাগরণের উৎসব। পথের উৎসব, মিছিলেই বন্ধুত্ব। নতুন চেহারার এই উৎসব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণারও উৎসব। ফুল-মালা-ধুপ-চন্দনের বদলে হাতে থাকবে স্লোগান, অঞ্জলি হবে কলম-তুলি-রঙে, সন্ধ্যারতিতে থাকবে লক্ষ কণ্ঠে গর্জে ওঠার স্বর---জাস্টিস ফর আরজি কর। এই উৎসবের অন্য নাম যেহেতু আন্দোলন, প্রতিবাদ, যুদ্ধ!