সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক ঘটনা মিশরের (Egypt) একটি গির্জায়। রবিবার প্রার্থনার সময় আগুন লাগে ওই গির্জাতে। এর ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জনের। ঠিক কীভাবে ওই গির্জায় আগুন ধরেছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে দীর্ঘ সময়ের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। ঘটনাটি নাশকতার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়ংকর ঘটনাটি মিশরের রাজধানী কায়রোর (Cairo)। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কায়রোর উত্তর-পশ্চিম অংশে রয়েছে একটি কপটিক খ্রিস্টান গির্জা (Coptic Christian Church)। সেখানেই রবিবারের প্রার্থনার সময় আগুন লাগে। গির্জায় সেই সময় প্রচুর লোক থাকায় মৃতের সংখ্যা ৪১-এ পৌঁছে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ১৪ জনকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রুটির দাবিতে আন্দোলনের ‘শাস্তি’, প্রকাশ্যেই আফগান মহিলাদের বেধড়ক মার তালিবানের]
ঘটনার কথা জানতে পেরে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (President Abdel Fattah al-Sisi) একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকবিলায় ও ভুক্তভোগীদের সাহায্যে সরকারের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনা নাশকতার হতে পারে, এমনটাও আশঙ্কা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি মিশর সরকারের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার আপনার পালা’, রুশদির আরোগ্য কামনা করতেই খুনের হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে]
কপটরা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে ও উত্তর আফ্রিকায় সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। একাধিকবার মুসলিমদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে খ্রিস্টানদের। বহুবার তাঁদের বাড়ি, চার্চ এবং স্কুলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সংখ্যাগুরুরা। তাতে বহু খ্রিস্টান মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি মিশরের চেনা রীতি ভেঙে একজন কপটিক ক্রিস্টানকে দেশটির শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি। যা সংখ্যাগুরু মুসলমানরা পছন্দ করেনি। এই নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। সব মিলিয়ে চার্চে আগুন লাগার ঘটনা নাশকতার হতে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।
উল্লেখ্য, বছর খানেকের আগেই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছেে মিশর। ২০২১ সালের মার্চ মাসে কায়রোর একটি কাপড়ের কারখানা আগুনে ভস্মীভূত হয়। ওই ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।