সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাহাউর হুসেন রানার ভারতে ফেরা নিয়ে শোরগোল আন্তর্জাতিক মহলে। আর এহেন পরিস্থিতিতে রানার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। তাদের দাবি, এখন আর রানা কোনও পাকিস্তানি নাগরিক নয়। সে কানাডার নাগরিক।

পাকিস্তানের বিদেশ দপ্তরের তরফে এক সরকারি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ''তাহাউর রানা গত দুই দশকে নিজের পাকিস্তানি নথির পুনর্নবীকরণ করায়নি। ওর জাতীয়তা যে কানাডিয়ান তা পরিষ্কার।'' আসলে পাকিস্তান ভয় পাচ্ছে, রানাকে ভারতে আনা হলে সে যদি পাক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিশদে মুখ খোলে! যদিও পাক সেনা ও গোয়েন্দাদের সঙ্গে রানার সংস্রবের কথা সর্বজনবিদিত। যেহেতু এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পেয়েছে নয়াদিল্লি, তাই তাকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে চাইছে ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই বড় কূটনৈতিক জয় পায় ভারত। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৮-এর ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে যে পাকিস্তানের জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তাদের অন্যতম মদতদাতা ছিল এই রানা। হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী ছিল মার্কিন নাগরিক ডেভিল কোলম্যান হেডলি। রানা তার ঘনিষ্ঠ। প্রায় দেড় দশক ধরে এই অপরাধীকে হাতে পেতে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ভারত।
২০১৩ সালে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে খুনের মামলায় ফের তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই জঙ্গিকে দিল্লির হেফাজতে দিতে মার্কিন প্রশাসন আদালতে আবেদন করে। গত বছরের আগস্ট মাসে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত জানিয়ে দেয় রানা ভারতের কাছে প্রত্যর্পণযোগ্য। পালটা আবেদন করেছিল সে। কিন্তু কিছুই ধোপে টেকেনি না। অবশেষে ২৬/১১ হামলার বিচারের জন্য দেশে ফেরানো হচ্ছে রানাকে।