সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ব্রহ্মস (Brahmos) মিসাইল আছড়ে পড়ার শাস্তি হিসাবে তিন বায়ুসেনা আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। কিন্তু অপরাধের তুলনায় এই শাস্তি একেবারেই নগণ্য বলে দাবি করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সেদেশের তরফে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় দুই দেশের যৌথ তদন্ত করা দরকার। অভ্যন্তরীণ আদালতের রায়ের ফলে ওই আধিকারিকদের যা শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।
বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, পাক ভূখণ্ডে সুপারসোনিক মিসাইল ছোঁড়ার ঘটনায় ভারতের অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফলাফল জানা গিয়েছে। সেদেশের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, “ভারত যেভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে, পাকিস্তান সেই তদন্তকে অস্বীকার করছে। ভারত যে এরকমই বিচার করবে, সেকথা আগে থেকেই অনুমান করতে পেরেছিলাম আমরা। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া সন্তোষজনক নয়। তাছাড়াও এই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করছে পাকিস্তান।”
[আরও পড়ুন: রক্ত দিয়ে ফিদায়েঁ পাক জঙ্গির প্রাণ বাঁচাল ভারতীয় সেনা]
সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনায় যৌথ তদন্তের দাবি করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে নিজেরাই তদন্ত করেছে ভারত। এহেন আচরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নিশ্চয়ই কোনও তথ্য লুকানোর দরকার ছিল ভারতের, সেই কারণেই যৌথ তদন্ত করতে চায়নি তারা। ভারতের মিসাইল উৎক্ষেপণের সিস্টেমের গলদ রয়েছে। শুধুমাত্র তিনজন মানুষকে শাস্তি দিয়ে সেই ত্রুটি ঢেকে দেওয়া যায় না।
গত ৯ মার্চ ভুলবশত পাকিস্তানের মিয়াঁ চান্নু এলাকায় একটি ভারতীয় ব্রহ্মস মিসাইল আছড়ে পড়ে। যদিও সেখানে কোনও বিস্ফোরক ছিল না। কিন্তু মিসাইলের আঘাতে স্থানীয় কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয় পাকিস্তানের তরফে। সেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বায়ুসেনার তরফে অভ্যন্তরীণ কমিটি তৈরি করে তদন্ত শুরু করা হয়।
[আরও পড়ুন:কুর্সি সংকটে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, খনি দুর্নীতিতে হারাতে পারেন বিধায়ক পদ]