সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতের মারে ঘায়েল হয়েছিল পাক সেনা। এবার গাজায় শান্তিরক্ষা বাহিনীতে দেখা যাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে! এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে পাকিস্তানের তরফে সরকারিভাবে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফের মতে, গাজায় সেনা পাঠাতে পারলে সেটা পাকিস্তানের পক্ষে গর্বের।
চলতি মাসের শুরুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ থামে। তারপরেও বারবার দুপক্ষের তরফে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির পরে শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে গাজায়। নানা দেশের সেনাবাহিনীর সাহায্যে গঠিত হবে এই বিশেষ বাহিনী। কিন্তু এই ইন্টারন্যাশনাল স্টেবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ)-এর জন্য এখনও কোনও দেশই নিজেদের সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেনি।
এহেন পরিস্থিতিতে খবর ছড়ায়, আইএসএফে নিজেদের সেনা পাঠাবে পাকিস্তান। মূলত হামাসকে নির্মূল করাই এই আইএসএফের কাজ। সেই কাজে ২০ হাজার সেনা পাঠাতে পারে পাকিস্তান, সেই নিয়ে সিআইএর সঙ্গে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির বৈঠক করেছেন, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে সরকারিভাবে এই নিয়ে ইসলামাবাদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই প্রশ্নের জবাবে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসিফ বলেন, গাজায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে গেলে পার্লামেন্ট এবং অন্যান্য অনেকের অনুমতি নিতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত সেনা পাঠালে সেটা পাকিস্তানের পক্ষে খুবই গর্বের।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পাকিস্তান। এবার ট্রাম্পের 'নির্দেশে' গাজায় সেনাও পাঠাতে চাইছে তারা। যদিও পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশই ক্ষুব্ধ হতে পারে। তা সত্ত্বেও আমেরিকার সুরে সুর মেলাতে পিছপা হবে না পাকিস্তান, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই বাহিনী কতখানি শান্তি ফেরাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, এই বাহিনীকে ব্যবহার করে গাজা দখলের ছক কষছেন ট্রাম্প।
