সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical strike) করতে পারে ভারত! এই মুহূর্তে এমনই আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান (Pakistan)। কড়া সতর্কতা জারি করে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে পাক সেনাও। সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনটাই। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কৃষক বিক্ষোভ (Farmers’ protest) থেকে নজর ঘোরাতেই ফের পাকিস্তানকে আক্রমণ করার পদক্ষেপ করতে পারে মোদি সরকার।
পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরপর বিতর্কিত নীতির ধাক্কায় বেসামাল দিল্লি। তাই শিখ কৃষকদের প্রতিবাদকে দুর্বল করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করতে পারে তারা। নিয়ন্ত্রণরেখায় তাই সেনা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। ভারতের তরফ থেকে কোনও রকম উসকানি দেখলেই জবাব দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পাক সেনাকে।
[আরও পড়ুন: ‘খেসারত দিতে হবে’, করোনা পরিসংখ্যান নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে কড়া বার্তা কিমের বোনের]
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’-এর দাবি, ২০১৬ সালে কোনও প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানে ঢুকে এসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি জানিয়েছিল ভারত। পরে ২০১৯ সালেও তারা এমনই পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেবার তারা ব্যর্থ হয়।
কেবল সংবাদমাধ্যমই নয়, রীতিমতো আতঙ্কিত পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভারত এমন কোনও পরিকল্পনা করতেই পারে। তাঁর দাবি, ‘‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। এর ফলে তাদের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কৃষকরা তো বটেই, সেই সঙ্গে বিরোধী দল, আইনজীবী ও পড়ুয়াদের প্রতিবাদের সামনে পড়ে এখন হুমকির সুরে কথা বলছে দিল্লি। তাই অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থেকে নজর ঘোরাতে অন্য কোনও পথ তারা বেছেই নিতে পারে। সেই ঝুঁকি পুরোমাত্রায় রয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে তিনিই থাকছেন, ফের বিতর্ক উসকে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের]
তবে এখনও পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের এমন দাবি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে উরিতে হওয়া জঙ্গি হামলার পরে ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার ঘোষণা করেছিল ভারত। ধ্বংস করেছিল একাধিক জঙ্গি লঞ্চপ্যাড।