সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দেশের মধ্যে চলতে থাকা সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তুরস্কে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছিলেন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা। কিন্তু মঙ্গলবার সেই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। তারপরই আফগানিস্তান ফের হুঁশিয়ারি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ। বলেন, “তালিবানকে শেষ করতে আমাদের পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগের দরকার নেই।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, যদি শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে পাকিস্তান সরাসরি আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে যাবে।
পাকিস্তানের প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আসিফ আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তালিবানকে সমূলে উৎপাটিত করতে পাকিস্তানকে পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে হবে না। তালিবান শাসনকে অন্ধকার গুহায় পাঠানোর ক্ষমতা ইসলামাবাদের আছে।” একইসঙ্গে তিনি ২০০১ সালের তোরা বোরা যুদ্ধের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, "যদি তারা চায়, তাহলে তোরা বোরায় তাদের পরাজয়ের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এটা অবশ্যই দেখার মতো একটি দৃশ্য হবে।" উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের তোরা বোরা ছিল আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের শেষ আস্তানা। ৯/১১-এর ঘটনার পর এখানেই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল তালিবানরা। এই তোরা বোরাতেই হামলা চালায় মার্কিন সেনা। যুদ্ধে ২০০ জনেরও বেশি আল-কায়েদা নেতার মৃত্যু হয়। তবে লাদেন পাকিস্তানে পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নেয়। সমস্যা মিটিয়ে শান্তি স্থাপন করতে কাতারের রাজধানি দোহায় প্রথম দফার শান্তি আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। কাতারের পাশাপাশি মধ্যস্থতার দায়িত্বে ছিল তুরস্কও। কাতারের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। উভয়পক্ষই স্থায়ী শান্তি এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু পরে জানা যায়, আদতে দু’দেশের মধ্যে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। তাই গত শনিবার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু মঙ্গলবার জানা গেল, সেই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
