সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরেই ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের। ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নিত হন মুনির। এবার আরও একধাপ এগোল সেই প্রক্রিয়া। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হল সংবিধান সংশোধনী বিল। ফিল্ড মার্শাল থেকে একেবারে সেনা সর্বাধিনায়ক হলেন অসিম মুনির। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করতেও নতুন একটি বিল পাশ করানো হয়েছে বলে খবর। পাক জনতার আশঙ্কা ফের সেনা শাসনের দিকে এগোচ্ছে দেশ। এবার এর বিরুদ্ধে হুঙ্কার জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের। দেশজুড়ে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তানের বিরোধী জোট।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরোধী জোট দেশজুড়ে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছে। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পাক সংবাদপত্রের খবরে জানা গিয়েছে, পিটিআই-এর নেতৃত্বে থাকা জোট সংসদীয় দলের সভা করেছে। এই বৈঠকে পিটিআই-এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান, আসাদ কায়সার এবং বেশ কয়েকজন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকার দেশ চালাতে অক্ষম এবং পাকিস্তান গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রাক্তন স্পিকার আসাদ কাইজার এই কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিচারব্যবস্থাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অনুরোধ করব।' জানা গিয়েছে আগামী শুক্রবারের বৈঠকের পরে জোটের তরফে দেশজুড়ে যৌথ প্রতিবাদের কথা ঘোষণা করা হবে।
বুধবার পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদ সংশোধন সংক্রান্ত বিল পাশ করে শাহবাজ সরকার। এর ফলে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল থেকে মুনির হলেন সেনা সর্বাধিনায়ক বা চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস। এর আগে এরকম কোনও পদ পাক সেনাবাহিনীতে ছিল না। সংবিধান সংশোধনের করে নতুন এই পদ সৃষ্টি করা হল। এর পাশাপাশি নতুন বিলে মুনিরের জন্য বিশেষ আইনি রক্ষাকবচও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করতেও নতুন একটি বিল পাশ করিয়েছে পাক সরকার। এই বিলে সংবিধান সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার ভার সুপ্রিম কোর্টের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নতুন গঠিত সাংবিধানিক আদালতে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আসলে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করল শাহবাজ সরকার।
