সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না ইমরান খানের (Imran Khan)। বিরোধীদের তোপে পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী এমনিতেই কোণঠাসা। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই তাঁর মুখে ‘শত্রু’ ভারতের প্রশস্তি! যা শুনে বিস্মিত ওয়াকিবহাল মহল। প্রশ্ন উঠছে, হল কী ইমরানের?
ঠিক কী বলেছেন ইমরান? লাহোরে (Lahore) টেকনোপলিসের এক অনুষ্ঠানে গত ২৩ ডিসেম্বর নাকি প্রযুক্তিক্ষেত্রে ভারতের দাপটের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, এবিষয়ে পাকিস্তানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভারত। তাঁর মতে, আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যে প্রযুক্তিক্ষেত্রে ভারত ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানিতে পৌঁছবে। যেখানে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা হতে পারে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার।
[আরও পড়ুন: জার্মানি থেকে ধৃত লুধিয়ানা বিস্ফোরণে জড়িত খলিস্তানি জঙ্গি, ছক ছিল দিল্লি-মুম্বইয়ে হামলারও]
প্রসঙ্গত, ইমরানের মুখে ভারত-প্রশস্তি এই প্রথম নয়। গত মার্চে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রীতিমতো ভারত বন্দনায় মেতে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় ঠিক কী বলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী?
তিনি জানিয়েছিলেন, ৫০-৫৫ বছর আগে সারা বিশ্বে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে পাকিস্তানকে ধরা হত। তাঁর দেশের এমনই একটা ভাবমূর্তি ছিল বিশ্বের কাছে। এরপরই দুর্নীতি আকাশ ছুঁয়ে ফেলতে শুরু করেছিল ইসলামাবাদের। উলটো ছবি ছিল ভারতে। তিনি বলেছিলেন, ”ক্রিকেট খেলতে যখন ভারতে যেতাম, তখন মনে হত কোনও গরিব দেশ থেকে এক সম্পদশালী উন্নত দেশে খেলতে এসেছি।”
[আরও পড়ুন: একে-৪৭-এর গুলি, ভয়াবহ বিস্ফোরণেও লাগবে না আঁচড়! চমকে দেবে মোদির ১২ কোটির গাড়ি]
তাঁর এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়েছিল। বছর শেষ হতে না হতেই ফের ভারতের প্রশংসা করতে দেখা গেল ইমরানকে। যাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, ইমরানের এই আচরণ কি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?
উল্লেখ্য, ‘বন্ধু’ চিনেরও (China) প্রশংসা করেছেন ইমরান। দারিদ্র দূরীকরণে বেজিংয়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, যেভাবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে ইতিমধ্যেই ৭০ কোটি মানুষকে দারিদ্ররেখার বাইরে আনতে সক্ষম হয়েছে চিন, তা প্রশংসনীয়।