সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত না হলে মরিয়া হয়ে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবতে পারে ইসলামাবাদ। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এ আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছিল অনেকের মধ্যেই। কিন্তু সংঘর্ষবিরতি চুক্তির প্রায় দুমাস বাদে সেই আশঙ্কাকে স্রেফ অমূলক বলে দাবি করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র শান্তির জন্য, দেশের রক্ষার জন্য। আগ্রাসনের জন্য নয়।
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাক সেনার যখন নাস্তানাবুদ অবস্থা তখন মরিয়া হয়ে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবছিল ইসলামাবাদ। একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ১০ মে পাকিস্তানের পরমাণু বোমার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠকও ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের সামরিক ও অসামরিক শীর্ষকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা। পরে পাকিস্তান সে খবর অস্বীকার করে। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে চাপে পড়ে পাকিস্তান যে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল, পরে সে ইঙ্গিত মিলেছিল মার্কিন রাষ্ট্রপতির কথাতেও। দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় এই সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
যদিও শাহবাজ শরিফ এসব মানতে নারাজ। শনিবার ইসলামাবাদে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, "পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুই শান্তির জন্য। দেশরক্ষার স্বার্থে। কোনওরকম আগ্রাসনের জন্য নয়।" লাগাতার সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, "আমরা ক্ষেত্রীয় শান্তির পক্ষে। তাই কোনওভাবেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্ন ওঠে না।" শাহবাজ এদিন মেনে নিয়েছেন ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শাহবাজ মুখে যে শান্তির বাণী শোনাচ্ছেন সেটা নেহাত কথার কথা। নিজেদের দেশের ভাবমূর্তি বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা। কোনও দেশই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে না। পাকিস্তান তো নয়ই।
