shono
Advertisement
Russia’s Buzzer Radio

ঠান্ডা যুদ্ধের সেই রুশ 'বাজার' বেজেই চলেছে, ভেসে আসছে নানা শব্দ! পরমাণু হামলার ইঙ্গিত?

ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় এই রেডিও স্টেশনকে কাজে লাগিয়ে শত্রুপক্ষের গতিবিধির খবর দেওয়া-নেওয়া করত সোভিয়েত ইউনিয়ন।
Published By: Saurav NandiPosted: 04:43 PM Dec 15, 2025Updated: 07:26 PM Dec 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজ... বাজ... বাজ...

Advertisement

টানা বেজেই চলেছে। তার সঙ্গেই ভেসে আসছে কিছু শব্দও। কখনও শোনা যাচ্ছে 'লাটভিয়া', কখনও 'ব্রেকব্রেন', কখনও আবার 'পেপার শেকার'!

কিন্তু এই শব্দ বা শব্দবন্ধের অর্থ কী? জানেন না কেউই। বোধগম্য হওয়ার কথাও নয়। তবে এ সবই যে 'মর্স কোড' বা কোনও গুপ্ত সংকেত, সে ব্যাপারে সকলেই নিশ্চিত। কারণ, আমেরিকার সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় এই সংকেত থেকেই শত্রুপক্ষের গতিবিধি জানতে পারত সোভিয়েত সেনা। কিন্তু সেই রেডিও সিগন্যালই সাম্প্রতিক কালে কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। অনেকের আশঙ্কা, এই সক্রিয়তা নিশ্চয়ই কোনও যুদ্ধের ইঙ্গিত। এমনকি পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।

কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এই রুশ রেডিও স্টেশনের (Russia’s Buzzer Radio) নাম 'ইউভিবি-৭৬'। ডাকনাম 'দ্য বাজার'। ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় এই রেডিও স্টেশনকে কাজে লাগিয়ে শত্রুপক্ষের গতিবিধির খবর দেওয়া-নেওয়া করত সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই রেডিও স্টেশনের বিশেষত্বই হল, এটি সারাক্ষণ সক্রিয়। মাঝে মাঝে কিছু শব্দ ভেসে আসে ঠিকই। তবে তা খুব নিয়মিত নয়। হয়তো মাসে একটা বা দুটো মর্স কোড। কিন্তু চলতি বছরের শেষের দিকে সক্রিয়তা বেড়েছে এই রেডিও স্টেশনে। প্রতিদিন ভূরি ভূরি শব্দ বা শব্দবন্ধ ভেসে আসছে তা থেকে। যা বিরল বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মত, শেষবার এই সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল ২০২২ সালে। রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর ঠিক আগে। তাই যুদ্ধের আশঙ্কা অমূলক নয়।

এই আশঙ্কার আর একটি কারণও রয়েছে। রেডিও সিগন্যালে 'লাটভিয়া' শব্দটি শোনা গিয়েছে। লাটভিয়া ইউরোপেরই একটি দেশ। নেটো জোটেরও সদস্য। ঘটনাচক্রে, নেটো জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার বিবাদ। ক্রেমলিন চায় না, ইউক্রেন নেটো জোটে অন্তর্ভুক্ত হোক। ফলে রেডিও স্টেশন থেকে ভেসে আসা 'লাটভিয়া' শব্দটির মধ্যে দিয়ে 'লাটভিয়া' দেশের কথা বোঝানো হয়ে থাকলে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই সূত্রে পরমাণু যুদ্ধেরও গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। কারণ, ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় মনে করা হত, এই রেডিও স্টেশন রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা 'পেরিমিটার' বা 'ডেড হ্যান্ড'-এর সঙ্গে যুক্ত। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার বিশেষত্ব ছিল, কোনও নির্দিষ্ট রেডিও সিগন্যাল পেলেই শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাবে ওই পরমাণু অস্ত্র।

তবে পাল্টা অভিমতও রয়েছে। তা হল, এই সমস্ত আশঙ্কা বা তত্ত্বের সেই অর্থে কোনও ভিত্তি নেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, একটি শব্দ ধরে নিয়ে যুদ্ধের আশঙ্কা করা যায় না। আর তাছাড়া সেনারা 'কোড লেভেল' হিসাবেও বিভিন্ন দেশের নাম ব্যবহার করে থাকেন। তার মানে এই নয়, হামলা চালানোর কথা বলা হচ্ছে। হতে পারে কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। জরুরি পরিস্থিতিতে রেডিও স্টেশন সক্রিয় ভাবে কাজ করবে কি না, হয়তো তাই দেখার চেষ্টা চলছে, যা অস্বাভাবিক নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এই রুশ রেডিও স্টেশনের নাম 'ইউভিবি-৭৬'।
  • ডাকনাম 'দ্য বাজার'।
  • ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় এই রেডিও স্টেশনকে কাজে লাগিয়ে শত্রুপক্ষের গতিবিধির খবর দেওয়া-নেওয়া করত সোভিয়েত ইউনিয়ন।
Advertisement