সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামাবাদে (Islamabad) একটি আদালতের বাইরে ভায়বহ গাড়ি বিস্ফোরণে (Blast) মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। হামলার দায় স্বীকার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। তারপরই কাবুলকে হুঁশিয়ারি দিলেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। বলেন, “একই ভাষায় উত্তর দেব।” এবার কি তাহলে সম্মুখ সমরে আসবে দুই দেশ? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে।
পাক সংবাদমাধ্যকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খোয়াজা বলেন, “পাকিস্তান কখনই যুদ্ধের পথে যেতে চায় না। কিন্তু আমাদের ভূখণ্ডে কোনও আগ্রাসন হলে, তার কড়া জবাব দেবে পাকিস্তান।” এমনিতেই ডুরান্ড লাইনকে কেন্দ্র করে গত মাস থেকে সংঘাত শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান ও পাকিস্তানের মধ্যে। সংঘর্ষের জেরে দুই তরফের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। এই পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরাতে তুরস্কে তৃতীয় দফার শান্তি আলোচনায় বসেছিলেন দু'দেশের নেতার। কিন্তু সেই শান্তি আলোচনায়ও ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতিতেই ইসলামাবাদের বুকে হামলা চালায় আফগান মদদপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও জটিল হতে পারে দু'দেশের সম্পর্ক।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি আদালত চত্বরের পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। তারপরই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িও। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় সেখানে বহু মানুষের ভিড় ছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বহু আইনজীবীও। বিস্ফোরণের পরই সেখানে হুলস্থূল পড়ে যায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ১২ জনের। আহতের সংখ্যা বহু।
