সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখন তিনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। অবশ্যি সেইসঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যানও বটে। সেই ইমরান খানকে (Imran Khan) হত্যার পরিকল্পনা করেছে আততায়ীরা। এমন খবর প্রকাশ্যে এসেছে পাক সংবাদ মাধ্যমে। প্রাক্তন পাক অধিনায়েকর জীবননাশের জন্য আফগানিস্তানের এক ভাড়াটে খুনির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সতর্ক করেছে খোদ পাক সন্ত্রাস দমন বিভাগ (Counter Terrorism Department)।
দিন দুয়েক আগেই পিটিআই (PTI) দলের নেতা, প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী ফায়াজ চৌহান নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তথ্য আছে তাঁর কাছে। এরই মধ্যে ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘কোচি’ নামে আফগানিস্তানের এক আততায়ীকে ভাড়া করা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। সেই দাবিতে কার্যত শিলমোহর দিল খাইবার পাখতুনখাওয়ার সন্ত্রাস দমন বিভাগ।
[আরও পড়ুন: বিয়ের আগে যৌন মিলন না করাই প্রকৃত ভালবাসা, সতীত্বের পক্ষে সওয়াল করে বিতর্কে পোপ]
মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি পাক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিটিডি ইমরানের নিরাপত্তার বিষয়ে সবরকম ব্যবস্থা নিতে বলেছে পাক সরকারকে। পাকিস্তানে বহুল প্রচলিত উর্দু ভাষার সংবাদপত্র ‘জঙ্গ’ একই কথা জানিয়েছে। জঙ্গ-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ইমরানকে হত্যা করতে জঙ্গিরা আফগানিস্তানের এক কুখ্যাত আততায়ীর সাহায্য নিচ্ছে। ইতিমধ্যে পাক প্রশাসনের সব মহলকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১৮ জুন ইমরানের হত্যা পরিকল্পনা তথা নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। বিষয়টিকে গোপন রাখার কথা ছিল। বিশেষ ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত গোটা পাকিস্তান ইমরানকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জেনে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্টেডিয়ামে লাঠি নিয়ে ঢুকে পড়ল উত্তেজিত জনতা, মালদ্বীপে বানচাল যোগ দিবসের অনুষ্ঠান]
ইমরান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের দাবি এবারই নতুন নয়। গত মাসে এক রাজনৈতিক সমাবেশে ইমরান নিজেই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এবিষয়ে তাঁর কাছে কিছু ভিডিও ফুটেজ আছে বলেও দাবি করেছিলেন। যদিও সেই প্রমাণ প্রকাশ্যে আনেননি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।