shono
Advertisement

ব্রাত্য চিন-রাশিয়া, বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বিশ্বকে বার্তা মোদির

গণতন্ত্র সম্মেলনে ভারচুয়ালি বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
Posted: 05:55 PM Dec 10, 2021Updated: 05:55 PM Dec 10, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে ভারচুয়ালি বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।শুক্রবার বিশ্বকে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর সার্থকতার বার্তা দিলেন নমো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে হওয়া ‘ডেমোক্র্যাসি সামিট’-এ চিন ও রাশিয়া ব্রাত্য হলেও বিশ্বমঞ্চে ভারতের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সত্যি হল আশঙ্কা, আফগানিস্তানে ফের কলেবরে বাড়ছে আল কায়দা!]

গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে গতকাল অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে দু’দিনের আলোচনাসভার আয়োজন করছে আমেরিকা (America)। ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে আমন্ত্রিত ভারতও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই চিন এবং রাশিয়ার নাম। অথচ গণতন্ত্রের আলোচনা সভায় আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাইওয়ানকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বরাবর তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে চিন। এই বিষয়ে ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনা বিদেশমন্ত্রকের ঝাও লিজিয়ান আগেই বলেছেন, “তথাকথিত গণতন্ত্র সম্মেলনে তাইওয়ানের আমন্ত্রণের বিষয়এ আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমেরিকার কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তিগুলিকে মঞ্চ না দেয়।”

এহেন পরিস্থিতিতে এদিন গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর সার্থকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশ্বের কাছে ভারতের একটাই বার্তা যে গণতন্ত্রের সার্থকতা আগেও ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মানুষের মধ্যে এবং মানুষের সঙ্গে গণতন্ত্র রয়েছে। ভারতীয়দের মজ্জায় গণতন্ত্র রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসের ৯-১০ তারিখ ‘সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি’ (Summit For Democracy) নামে ভারচুয়াল আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে আমেরিকা। বিশ্বে গণতন্ত্রকে কীভাবে মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই সভায়। মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হতে চলেছে। এক- একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা, দুই-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, তিন-মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু এমন এক আলোচনাসভায় চিন, রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রের অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়িয়েছে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই মায়ানমার, আফগানিস্তানও। কিছুদিন আগেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এদিকে আফগানিস্তানও তালিবানের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী। এরা সকলেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু তাদেরও এই আলোচনাসভায় ডাকা হয়নি।

[আরও পড়ুন: আর শান্তি আলোচনা নয়, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ফের যুদ্ধ ঘোষণা পাকিস্তানি তালিবানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement