সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা মামলার কিনারায় বড়সড় কূটনৈতিক জয় ভারতের। পিএনবি-র ঋণখেলাপি, পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিল বেলজিয়ামের আদালত। তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে নয়াদিল্লির আবেদন বৈধ, জানিয়েছেন বিচারক। ফলে বড়সড় বিপাকে মেহুল চোকসি। যদিও জানা যাচ্ছে, বেলজিয়ামের এই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেখানকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবেন চোকসি। সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কবে প্রতারক মেহুল চোকসিকে হাতে পাবে নয়াদিল্লি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই।
পিএনবি থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে গুজরাটের বছর পঁয়ষট্টির হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। মামলার কিনারা করতে নামে সিবিআই। ২০১৮ সালে চোকসি সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালান। প্রথমে গা ঢাকা দিয়েছিলেন দ্বীপদেশ অ্যান্টিগায়। আদালতে বারবার চোকসি জানান, তিনি আর ভারতীয় নন, অ্যান্টিগার নাগরিক। কিন্তু এদেশের নাগরিকত্ব ছাড়েননি। ফলে নিয়ম মেনেই বিদেশ থেকে তাঁকে প্রত্যর্পণে পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। ২০২৪ সালে সিবিআই জানতে পারে, চোকসি বেলজিয়ামে গা ঢাকা দিয়েছেন। তখনই বেলজিয়াম সরকারের কাছে প্রত্যর্পণের আর্জি জানানো হয়। সেখানকার আদালতের নির্দেশে এপ্রিল মাসে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হন প্রতারক হিরে ব্যবসায়ী। সেই থেকে তিনি কারাবাসে ছিলেন।
অসুস্থতার কথা বলে বারবার আদালতে জামিনের আবেদন করেন চোকসি। কিন্তু জামিন মেলেনি। আর শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর বেলজিয়ামের আদালত সাফ জানিয়ে দিল, ভারতের তরফে আসা প্রত্যর্পণের আর্জি বৈধ। চোকসিকে তুলে দিতে হবে ভারতের হাতে। তবে বেলজিয়ামের আইন অনুযায়ী, আইনি সহায়তা পাবেন তিনি। চাইলে ১৫ দিনের মধ্যে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সেখানকার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবেন চোকসি। সম্ভবত প্রত্যর্পণ এড়াতে সে পথেই হাঁটবেন তিনি।
