সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সভাপতিত্বে শুরু হল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। সোমবার এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল সমুদ্রের সুরক্ষা ও পারস্পরিক সহযোগিতা। একইসঙ্গে বৈঠকে উঠল আফগানিস্তান প্রসঙ্গও।
[আরও পড়ুন: ভারতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন Nirav Modi, রায় ব্রিটিশ আদালতের]
এক মাসের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। ২০২১-২২ সালে প্রথমবারের জন্য এই দায়িত্ব নিল ভারত। ফ্রান্সের হাত থেকে ১ আগস্ট ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতের কার্যকাল শুরু হয়েছে ২ আগস্ট থেকে। তারপরই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের নেতৃত্বে ‘Enhancing Maritime Security: A Case For International Cooperation’ শীর্ষক আলোচনা শুরু হয়েছে আজ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতা। সদস্য দেশগুলির উদ্দেশে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “মহাসাগর আমাদের যৌথ ঐতিহ্য। আজ সমুদ্রের সুরক্ষায় জলদস্যুদের থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য মহাসাগরগুলি অত্যন্ত জরুরি। আমাদের উচিত সামুদ্রিক বাণিজ্যের বাধা তুলে দেওয়া। অতীত কাল থেকেই মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাসী ভারত। সামুদ্রিক মুক্ত বাণিজ্যে বাধা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ।”
উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকএ আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানো নিয়েও আলোচনা হয় সদস্য দেশগুলির মধ্যে বলে খবর। দ্রুত কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে তালিবান (Taliban)। পাহাড়ি দেশটির প্রায় ৩৫০ জেলার মধ্যে অন্তত ১৫০টি দখল করে ফেলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি বলে দাবি। বেগতিক দেখে কান্দাহার ও হেরাত দূতাবাস থেকে কর্মীদের ফিরিয়ে এনেছে ভারত। এহেন সময়ে নয়াদিল্লিকে বাদ দিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তানকে নিয়ে নতুন এক আঞ্চলিক শক্তি (কোয়াড গ্রুপ) তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা। কয়একদিন আগেই জানা যায় যে আমেরিকা, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা মিলে একটি চতুর্দেশীয় (কোয়াড) কূটনৈতিক মঞ্চ তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। চতুর্ভুজ শক্তির মূল লক্ষ্যই হবে, আঞ্চলিকস্তরে নিবিড় সংযোগ স্থাপন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় ভারতকে বাদ দেওয়া হল কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।