shono
Advertisement

রাশিয়ার ‘সেনা অভ্যুত্থানে’র খবর আগেই পেয়েছিল আমেরিকা! বিদ্রোহের পিছনে কি CIA?

বিদ্রোহী সেনা পিছু হটায় আপাতত স্বস্তিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
Posted: 12:20 PM Jun 25, 2023Updated: 12:20 PM Jun 25, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিছু হটেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। মস্কোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া বাহিনীকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। ‘সেনা অভ্যুত্থান’ থমকে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। কিন্তু রাশিয়ার (Russia) ভাড়াটে সেনার এই বিদ্রোহের কথা আগেই জানত আমেরিকা! মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি তেমনই।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর ছিল ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ায় যে চাঞ্চল্য তৈরি হতে চলেছে, তা জানতে পেরে গিয়েছিল হোয়াইট হাউস। শুধু তাই নয়, জুনের মাঝেই নাকি প্রিগোজেনের ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন সিআইএ কর্তারা। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বিদ্রোহের পিছনে কি রয়েছে আমেরিকার উসকানি? যদিও মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, বিদ্রোহের খবর কেবল আমেরিকা জানত, তাই নয়। পুতিন নিজেও জানতেন তাঁর একসময়ের সঙ্গী এই যুদ্ধের সময়ই বিদ্রোহ ঘোষণা করতে চলেছেন।

[আরও পড়ুন: রিকশা চালকের ছদ্মবেশে খলিস্তানিদের দঙ্গলে! ‘অপারেশন ব্লুস্টারে’ কোন ভূমিকায় ছিলেন অজিত ডোভাল?]

আসলে রাশিয়ার সেনা আধিকারিকদের হাত করার চেষ্টা করছে সিআইএ, এই দাবি আজকের নয়। বহু সূত্রের দাবি, বিশেষত অলিগার্কদের একাংশের সঙ্গে সিআইএ’র কালো টাকার লেনদেনের কথা জানা গিয়েছে। এমনকী পুতিন বিরোধী নেতা নোভালনির দুর্নীতি দমন শাখাকেও টাকা জোগাত সিআইএ, এই দাবিও রয়েছে।

শোনা যায়, পুতিনের সঙ্গে প্রিগোজিনের মন কষাকষি শুরু হতেই তাঁকে টোপ দেওয়া শুরু করে আমেরিকা। আর রুশ সেনার দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ বারবারই উঠেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে মার্কিন সাঁজোয়া গাড়ি থেকে শুরু করে নানা যুদ্ধাস্ত্রের অংশ রুশ সেনা আধিকারিকরাই বেচে দিচ্ছেন, এই দাবি উঠেছিল নানা সূত্র থেকে। সেই সব হিসেব মিলিয়ে দেখেই এই ‘সেনা অভ্যুত্থানে’র পিছনে সিআইএ’র ‘হাত’ দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

[আরও পড়ুন: দিনভর ‘নাটকে’র পর পিছু হটল বিদ্রোহী সেনা, মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রিগোজিনের]

উল্লেখ্য, শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ ভাড়াটে বাহিনীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে আরও বলা হয়, ‘আমরা দেশভক্ত। মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মতো মারাত্মক ভুল করেছেন প্রেসিডেন্ট।’ এরপরই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের রেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রিগোজিন জানিয়ে দেন, তিনি মস্কো অভিযান স্থগিত রেখেছেন। আপাতত বেলারুশে চলে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement