সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। জল্পনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলেও। প্রশ্ন উঠছে, রাইসির বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোনওভাবে ইজরায়েলের ভূমিকা রয়েছে কি?
কট্টর ইজরায়েল বিরোধী হিসাবেই আজীবন পরিচিত ছিলেন রাইসি (Ebrahim Raisi)। গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের পর থেকে আরও বেড়েছিল সেই বিরোধিতা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত। ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের (Iran) দূতাবাসে হামলায় নিহত হন বেশ কয়েকজন আধিকারিক। সেই হামলার নেপথ্যে ইজরায়েলি সেনার হাত রয়েছে বলে অনুমান ছিল অনেকের। তার পালটা দিতেই ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। বেশ কয়েকবার এভাবেই আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যায় দুই দেশ।
[আরও পড়ুন: রাইসির পর কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, কী বলছে ইরানের সংবিধান?]
সংঘাত খানিকটা থিতিয়ে যাওয়ার পরেই হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে রাইসির মৃত্যু। সেই জন্যই কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের (Israel) ভূমিকা রয়েছে কিনা, উঠছে এই প্রশ্ন। রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইকোনমিস্ট। সেখানে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ইরানে সক্রিয় রয়েছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তেহরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নিকেশ করতেও তারা সিদ্ধহস্ত। নিখুঁতভাবে অপারেশন চালিয়ে ইজরায়েলের 'শত্রু'দেরও হঠিয়েছে মোসাদ।
কিন্তু ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানকে টার্গেট করবে মোসাদ, সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ কোনও দেশের প্রধানকে খুন করা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমকক্ষ। সেক্ষেত্রে ইরানের পালটা হামলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও প্রবল চাপের মধ্যে পড়তে হবে তেল আভিভকে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন ইরানের প্রেসিডেন্টকে 'হত্যা' করে ঝামেলায় জড়াতে চাইবে না ইজরায়েল, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রাইসির মৃত্যুর জেরে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা অনেকখানি নষ্ট হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।