shono
Advertisement

অর্থনীতির কাঁটা বিছানো পথ ধরেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে, সংকট কাটানোর অঙ্গীকার সুনাকের

মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন ঋষি সুনাক।
Posted: 05:11 PM Oct 25, 2022Updated: 08:46 PM Oct 25, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। ব্রিটিশ প্রথা মেনে মঙ্গলবার তাঁকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেন রাজা তৃতীয় চার্লস। বাকিংহ্যাম প্যালেসে রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন ঋষি। তারপরই সরকারি ভাবে ঋষির হাতে মন্ত্রিসভা গঠনের ভার তুলে দেন রাজা। প্রসঙ্গত, সোমবারই ব্রিটেনের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঋষির নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী (British PM) হিসাবে ঋষির নামে সিলমোহর পড়ল। দায়িত্ব পেয়েই তিনি জানিয়ে দিলেন, আর্থিক সংকট থেকে দেশকে টেনে তোলাই তাঁর একমাত্র কাজ।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ঋষি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অভিষিক্ত হওয়ার পরে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সমবেত জনতাকে তিনি বলেন, দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি সাধন করতে চান তিনি। তবে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করে তোলাকেই মূল লক্ষ্য করে এগোতে চান ঋষি। এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই কথাও জানিয়ে দিলেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ঋষি জানিয়েছেন, “কোভিডের সময়ে আপনারা আমার কাজ দেখেছেন। একইভাবে দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি দিন রাত পরিশ্রম করব।”

[আরও পড়ুন: স্রেফ চলতি বছরের লাভ ১২৬ কোটির বেশি! ঋষি সুনাকের স্ত্রীর সম্পত্তি কত?]

সংকীর্ণ রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে দেশের মানুষের সর্বাঙ্গীন উন্নতি করবেন, এমনটাই বললেন ঋষি সুনাক। জনতার উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সুনাকের মুখে উঠে এল পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের নামও। অর্থনীতি সম্বন্ধে তাঁর পদক্ষেপগুলি কিছুক্ষেত্রে ভুল ছিল, তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, এমনটাই মনে করেন সুনাক। অন্যদিকে, বিদায়ী ভাষণেও সুনাকের প্রতি পূর্ণ সমর্থন করার বার্তা দিয়েছেন ট্রাস।

তবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকে পড়লেও, ঋষির সামনে এখন পাহাড় প্রমাণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় পর্যুদস্ত ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পড়ে যাচ্ছে পাউন্ডের দামও। ফলে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে গেলে কঠোর নীতি অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই ঋষির সামনে। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে নতুন করে সাধারণ মানুষের উপরে করের বোঝা চাপালে জনসমর্থন হারানোর আশঙ্কা থাকবে কনজারভেটিভ পার্টির সামনে। একসঙ্গে এত চ্যালেঞ্জ সামলে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন ঋষি? উত্তরের দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া।

[আরও পড়ুন:স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরির মরিয়া চেষ্টা! হিন্দুদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement