সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের যাবতীয় আক্রমণ রুখে দিয়েছিল 'সুদর্শন চক্র', অর্থাৎ এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এবার সেই সুদর্শন চক্রের গোপন তথ্য হাতাতে রাশিয়ায় চরবৃত্তি শুরু করল পাকিস্তান! সূত্রের খবর, পাকিস্তানের হয়ে কাজ করার অভিযোগে এক রুশ ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য রাশিয়া থেকে পাকিস্তানে পাচার করেছে ধৃত ব্যক্তি।
তদন্ত চলাকালীন জানা গিয়েছে, মূলত সেন্ট পিটার্সবার্গকে কেন্দ্র করে চরবৃত্তির জাল বুনেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সামরিক কপ্টার, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নানা প্রযুক্তি চুপিসারে রাশিয়া থেকে পাকিস্তানে পাঠাচ্ছিল এই চক্র। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, Mi8AMTShV এবং MI8 AMTShV হেলিকপ্টার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের চেষ্টা করছিল ধৃত ব্যক্তি। কতখানি তথ্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পাচার হয়ে গিয়েছে, তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। যদিও আধিকারিকদের দাবি, রুশ প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের আগেই পাক চরকে হাতেনাতে ধরা গিয়েছে।
রাশিয়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শক্তির পাশাপাশি এস-৪০০ মিসাইলের তথ্যও পাচারের ছক কষেছে আইএসআই, এমনটাই মত তদন্তকারীদের। এই বিষয়টি নিয়েই ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারে। কারণ অপারেশন সিঁদুরে পাক আঘাত পুরোপুরি রুখে দিয়েছিল এই এস-৪০০। সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশি পরিমাণ 'সুদর্শন চক্র' আমদানির কথা ভাবছে ভারত। সেই সুদর্শন চক্রের প্রযুক্তি এবং অন্যান্য তথ্য রাশিয়া থেকে পাকিস্তান হাতিয়ে নিলে, সেটা ভারতের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক।
কী এই এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম? রাশিয়ায় তৈরি হয় এই সুরক্ষামূলক সিস্টেম। ভারতে এই সিস্টেমের নাম সুদর্শন চক্র। বিশ্বের প্রথম সারির সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম এই সিস্টেম। অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে এই সুদর্শন চক্র। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে এই সিস্টেম। ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে ৫টি এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে ভারত। এই চুক্তির শেষ দুটি মিসাইল সিস্টেম ২০২৬-২০২৭ সাল নাগাদ সরবরাহ করা হবে। আগামী দিনে রাশিয়া থেকে আরও বেশি পরিমাণে এস-৪০০ কেনার ভাবনা রয়েছে ভারতের।
