সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার আগে ইউক্রেনে বড়সড় ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রুশ সেনা। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর না মিললেও আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। এহেন পরিস্থিতিতে আদৌ দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে কি না, সেই প্রশ্নটিই তুলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ইউক্রেন সেনার দাবি, শনিবার ভোরে রাজধানী কিয়েভে-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে মুহুর্মুহু ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। হামলার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘড়ি এবং অফিস। আগুন লেগে যায় ১৮ তলার একটি ভবনে। রুশ হামলায় এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিকবার এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করলেও বিশেষ সমাধানের রাস্তা বের হয়নি। দু’দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু তা-ও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ফের আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-জেলেনস্কি। কিন্তু এই হামলার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদৌ সেই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হবে কি?
এদিকে ইউক্রেনের কিছুটা অংশ রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ জেলেনস্কির উপর চাপ বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, "যুদ্ধ থামাতে গেলে ইউক্রেনকে ডনবাসের কিছু অংশ ছেড়ে দিতেই হবে। কারণ ৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে মস্কো সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে।" তবে ট্রাম্পের সেই চাপের সামনে মাথানত করতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। রবিবার দু'পক্ষের আলোচনায় কী উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।
