সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন সপ্তাহেরও বেশি চলতে থাকা সীমান্ত যুদ্ধে ইতি টানল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া (Thailand-Cambodia Ceasefire)। শনিবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দু’দেশ। বৈঠকের পর দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। শনিবার দুপুর থেকেই সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে খবর। সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে আমেরিকা এবং চিন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ‘শান্তির কূটনীতি’তে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে টেক্কা দিল বেজিং।
চলতি মাসের শুরুর দিকে শান্তিচুক্তি ভেঙে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া। হামলা এবং পালটা হামলায় মৃত্যু হয় বহু মানুষের। গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে। যুদ্ধ থামাতে দু'দেশকে বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর বৃহস্পতিবার থেকেই শান্তি ফেরাতে তৎপর হয় দুই দেশ। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের চান্থাবুরিতে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাথাফন নারকফানিত এবং কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি সেইহা বৈঠক করেন। তারপরই সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় দু'দেশ।
চলতি বছরের জুলাই মাসে টানা পাঁচদিন যুদ্ধ চলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে। অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয় দুপক্ষে। তিনদিন গোলাবর্ষণের পর থাইল্যান্ডের কাছে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানায় কম্বোডিয়া। যদিও সে প্রস্তাব কানে তোলেনি থাইল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুপক্ষ। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তাঁর প্রচেষ্টাতেই হিংসা বন্ধে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। অক্টোবর মাসে শান্তিচুক্তিতে সই করে দু'পক্ষ।
উল্লেখ্য, ‘এমারেলড ত্রিকোণ’ নামের একটি এলাকা নিয়ে দুই দেশের সংঘাত দীর্ঘদিনের। যেখানে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সীমানা মিলিত হয়েছে। ‘এমারেলড ত্রিকোণে’ রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। ওই মন্দিরগুলিকে নিয়ে সংবেদনশীল তিন দেশের সাধারণ মানুষেরা। এলাকাটির দখল নিয়ে বছর পনেরো আগেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে। সম্প্রতি তা নিয়েই ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে দু’দেশের।
