সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি৭ (G7) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া মূল্যে রাশিয়ার (Russia) কাছ থেকে তেল কিনবে না ভারত। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। সেদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এমনটাই জানিয়েছেন। রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত পবন কাপুরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আলেকজান্ডার। তারপরই রুশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাশিয়ার থেকে তেল কেনার সময় জি৭ ও তাদের সঙ্গীদের বেঁধে দেওয়া মূল্য না মানার ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী।’
গত সেপ্টেম্বরে জি৭ সদস্যদেশগুলি একমত হয় রাশিয়ার থেকে তেল কেনার সময় নির্দিষ্ট মূল্য মেনে চলতে। কিন্তু ভারত এই বেঁধে দেওয়া মূল্য মানছে না। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ভারত ২০২২ সালের প্রথম ৮ মাসে ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন তেল কিনেছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। এই সিদ্ধান্তের সপক্ষে ভারতের যুক্তি কী, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: চেনাতে হবে ‘ব্যাড টাচ’ ‘গুড টাচ’, শিশুদের যৌন হেনস্তা নিয়ে বার্তা দেশের প্রধান বিচারপতির]
যদিও ভারতের এই সিদ্ধান্তে অখুশি ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার দাবি, যেভাবে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কিনছে, তা নৈতিক দিক দিয়ে অনুচিত। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ভারত যে সস্তায় রুশ তেল কেনার সুযোগ পাচ্ছে এর পিছনে কারণ হল ইউক্রেনের প্রতি রুশ আগ্রাসন। ইউক্রেনীয়রা প্রতিদিন রাশিয়ার হামলায় ধুঁকছে, মারা যাচ্ছে।” পাশাপাশি তাঁর আবেদন, ”যেহেতু আপনারা আমাদের ভোগান্তির কারণেই লাভবান হয়েছেন, তাই আপনাদের উচিত আমাদের দিকে আরও বেশি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।”
পশ্চিমী দেশগুলিও রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের সমালোচনা করেছে। এর প্রতিবাদ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতের থেকে ৬ গুণ বেশি তেল কিনেছে রাশিয়ার থেকে। কেবল তাই নয়, তালিকায় থাকা পরবর্তী ১০টি দেশের কেনা তেলের সম্মিলিত পরিমাণও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিমাণের থেকে কম।