সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রণক্ষেত্রে রাশিয়াকে পালটা মার দিচ্ছে ইউক্রেন। এতে কোনও সন্দেহ নেই আমেরিকার অস্ত্রবলেই এতটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে কিয়েভ। কিন্তু ‘বন্ধু’ দেশকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সাহায্যের জন্য ভাঁড়ারে টান পড়েছে ওয়াশিংটনের। অতিরিক্ত সহায়তা বন্ধের পক্ষেই সরব হয়েছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আশঙ্কা, যদি কিয়েভকে সামরিক সাহায্য করা বন্ধ করে দেয় মার্কিন প্রশাসন, তাহলে জয় হবে রাশিয়ার।
রয়টার্স সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউসের (White House) এক সম্মেলনে মার্কিন কংগ্রেসের নেতাদের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়। যদি আমেরিকা বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিয়েভকে দেওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে তার পরিণতি ভয়ংকর হবে। রণক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে রাশিয়া। ধরাশায়ী হবে ইউক্রেন। এই আশঙ্কাও তাঁদের কাছে প্রকাশ করা হয়। মিত্রদেশকে সাহায্য করার জন্য আরও ৬০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের অনুরোধ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ইউক্রেনকে ফের সাহায্য করা নিয়ে বিরোধিতা করেছেন রিপাবলিকানরা।
[আরও পড়ুন: ‘আর অপেক্ষা নয়, এখনই মুক্তি চাই ইজরায়েলিদের’, পণবন্দিদের পরিবারের বিক্ষোভে স্তব্ধ পার্লামেন্ট]
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইউক্রেনকে (Ukraine) বেহিসাব সামরিক সহায়তার ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এই সহায়তা নিয়ে আমেরিকার অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেশ। এমতবস্থায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে (Ukraine-Russia War) অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি।
সম্প্রতি রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলা হয়েছিল, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে আমেরিকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে সমর্থন কমে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই কিয়েভের জন্য এটা সতর্কবার্তা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের সবথেকে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ মনে করেন আমেরিকার উচিত ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা। ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং বাকিরা উত্তর দেননি। ফলে এই মার্কিন প্রশাসনের এই টালবাহানায় চিন্তার ভাঁজ পড়ছে ইউক্রেনের কপালে।