সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেড়াতে যাবে বলে জুতো পরছিল বছর সাতের লুইজ। জুতো পায়ে গলানোর সময়ই বিষাক্ত বিছের (Scorpion) দংশন! প্রবল যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা ছেলেটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বাবা-মা। কিন্তু যন্ত্রণায় প্রায় নীল হয়ে যাওয়া ছেলেটি পরপর সাতবার হৃদরোগে (Heart Attacks) আক্রান্ত হয়। আর তারপরই সব শেষ। ব্রাজিলের বাসিন্দা সাত বছরের লুইজ মিগুয়েলকে কেড়ে নিল মৃত্যু। বলা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াল, বিষধর বিছের কামড়েই প্রাণ গিয়েছে তার। এমন ঘটনা বিরল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘটনা সপ্তাহ খানেক আগের। বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দে মশগুল ছিল লুইজ। জুতো পরার সময় খেয়ালই করেনি যে সামনে একটা ভয়াল দর্শন পোকা তাকেই শিকারের টার্গেট করে বসে রয়েছে। এরপর লুইজ পায়ে জুতো গলাতেই সমস্ত বিষ ঢেলে দিয়েছে সে। ব্রাজিলের ইয়েলো স্করপিওন। বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম Tityus serrulatus। এক দংশনেই যে পরিমাণ বিষ ঢালে, তাতে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। এ ধরনের বিছে সাধারণত লোকালয়ে দেখা যায় না। কিন্তু কপাল খারাপ লুইজের। তার বাড়িতেই পরে এই বিছের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে থাকা চিনাদের নিয়ে চিন্তিত জিনপিং, শাহবাজের সঙ্গে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ চিনা প্রেসিডেন্টের]
লুইজকে বিছেটি কামড়ানোর পরও তার বাবা-মা বুঝতে পারেননি যে মৃত্যুমুখে পড়েছে ছেলে। বাড়িতেই খানিকটা চিকিৎসা করার পরও ছেলে ছটফট করতে থাকে। দেখা যায়, দংশনের জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে, ছেলে ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছে। এরপরই তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। লুইজের মা অ্যাঞ্জেলিটা বলছেন, আমরা প্রথমে বুঝিনি, ওকে কীসে কামড়েছে। পা টা লাল হতে থাকলে আমার একবার মনে হয় যে বিছের বিষ ওর শরীরে গিয়েছে। তারপর ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা সঙ্গে সঙ্গে বিষটি বের করার চেষ্টা করেন। মাঝে ও একটু সুস্থও হয়। আমি গিয়ে ওর কপালে চুমু খাই। একটু কথাও বলি। কিন্তু পরদিনই শুনলাম, ও নেই। রাতে নাকি ৭ বার হার্ট অ্যাটাক করেছিল।”
[আরও পড়ুন: খাদের কিনারা থেকে ফিরে এল পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভেসে রইল বিশ্বকাপে]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলিয়ান ইয়েলো স্করপিওন খুবই বিষাক্ত (Poisonous)। একটা হুলেই অনেকটা বিষ ঢেলে দেয়। পৃথিবীর বহু বড় মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে এই কীট রয়েছে। লুইজ মিগুয়েল তাতে সাম্প্রতিকতম সংযোজন।