সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিরোধী (Hijab Protest) আন্দোলনে এবার অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র দমননীতি নিয়েছে ইরানের (Iran) কট্টরপন্থী প্রশাসন। তাতেও ভয় না পেয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক প্রতিবাদী রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ মিছিলের উপরে হামলা চালাল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। বুধবারের এই হামলায় মৃতের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই বুধবারেও ইরানের নানা অঞ্চলে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। ইজেহ শহরের একটি প্রতিবাদ মিছিলে আচমকাই ঢুকে পড়ে এক বাইক আরোহী। তারপরেই জনতার দিকে গুলি চালাতে শুরু করে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচ বিক্ষোভকারীর। এই ঘটনার তিন ঘণ্টা পরে ইরানের আরেকটি শহর ইসফাহানেও একই ভাবে হামলা চালানো হয়। দু’টি ঘটনা মিলিয়ে মৃত্যু হয় দুই শিশু-সহ ন’জনের।
[আরও পড়ুন: লাগাতার যৌন হেনস্তা, মুসলিম ধর্মগুরুকে সাড়ে ৮ হাজার বছরের কারাবাসের সাজা]
তবে এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ বলে অভিহিত করছে ইরানের প্রশাসন। সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়েছে, হিজাব বিক্ষোভে প্রচুর মানুষ যোগ দিচ্ছেন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। ইরানের তরফে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তা আধিকারিকদেরও নিশানা করে গুলি চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। ইতিমধ্যেই তিনজন হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আততায়ীদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে ইরানের প্রশাসন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে রাষ্ট্রীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিক্ষোভ দমন করতে পারেনি ইরানের প্রশাসন। সেই জন্যই গুপ্ত ঘাতকের সাহায্য নিয়ে প্রতিবাদীদের নিকেশ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বন্দুকবাজের হামলার কথা জানতে পেরেই কড়া বার্তা দিয়েছেন স্থানীয় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ প্রতিবাদীদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে ইরানের প্রশাসন। সব মিলিয়ে, প্রতিবাদ দমিয়ে দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে কট্টর মৌলবাদী সরকার। কিন্তু এই বিক্ষোভকে আমেরিকার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে ইরানের সরকার।