সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈরিতার সম্পর্ক আচমকাই বদলে গিয়েছে। এই সেদিনও এক অপরকে লক্ষ্য করে বাক্যবাণ ছুড়তে অভ্যস্ত ছিলেন তাঁরা। হুঙ্কার-পালটা হুঙ্কারে কেঁপে উঠত পৃথিবী। দুই মহা শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের শত্রুতায় যে পৃথিবী কোথায় পৌঁছাবে, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিল বাকিরা। আচমকাই সমীকরণ বদল। কিমের সঙ্গে ট্রাম্প যে মুখোমুখি বসতে চান সে আর নতুন খবর নয়। তবে এবার কিমের উপর যে ভরসা রাখছেন ট্রাম্প তাও স্পষ্ট হল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নয়া টুইটে তার ইঙ্গিত মিলল।
[ চিরশত্রু কিমের সঙ্গে বৈঠকে রাজি ট্রাম্প! পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে ‘হ্যাঁ’ কোরিয়ার ]
টুইট করে ট্রাম্প জানান, উত্তর কোরিয়া গত নভেম্বর থেকে আর মিসাইল পরীক্ষা করছে না। যতদিন না তাঁদের দেখা হচ্ছে ততদিন করবেও না। ট্রাম্পের আশা, কিম যে কথা দিয়েছেন, তা রাখবেন। এহেন নরম সুরে স্মরণাতীত কালে কথা বলতে শোনা যায়নি ট্রাম্পকে। বিশেষত লক্ষ্য যখন কিম। বরাবরই পালটা হুংকার দিয়ে এসেছেন তিনি। কিম যদি বলেন পরমাণু অস্ত্রের বোতাম তাঁর হাতে, ট্রাম্প বলেছেন তাঁর টেবিলে আরও শক্তিশালী বোমার বোতাম আছে। বরাবর যুদ্ধের হুমকি দিয়ে এসেছেন তাঁরা। আর কিমও ট্রাম্পকে দেখাতে নিজের পরমাণু ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা করেছেন। অবস্থা যেদিকে যাচ্ছিল তাতে ভয়াবহ পরমাণু যুদ্ধ যে এড়ানো যাবে, এমন আশা প্রায় ছেড়েই দিচ্ছিলেন পৃথিবীর মানুষ। ক্ষমতার সেই আস্ফালনে আচমকাই জল ঢেলে দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে একে অপরের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হয়ে যান তাঁরা। তবে কোথায় সে বৈঠক হবে তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। নানামহলে চলছে নানা জল্পনা।
পরস্পরের বিরোধিতা ছেড়ে কিমই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানায় ট্রাম্পকে। ট্রাম্প তাতে রাজিও হয়ে যান। দু’জনের সম্পর্কের বরফ গলায় স্বস্তিতে গোটা পৃথিবী। কিন্তু এই বৈঠক সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া কি অস্ত্র পরীক্ষা থেকে নিজেদের বিরত রাখবে? এ প্রশ্ন উঠছিলই।সম্ভবত তা নিশ্চিত করতেই এই টুইট ট্রাম্পের। মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। তবে চিরশত্রু কিমের উপর যেভাবে তিনি ভরসা রেখেছেন তাতে অবাকই হয়েছেন অনেকে।
The post কথা রাখবেন কিম, চিরশত্রুর উপরই শেষমেশ ভরসা ট্রাম্পের appeared first on Sangbad Pratidin.