সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লন্ডনের পথে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের উপরে হওয়া হওয়া হামলার নিন্দা করল ব্রিটেন। সেদেশের বিদেশ, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তর তথা FCDO-র তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।
মঙ্গলবার ব্রিটেনে পা রাখেন জয়শংকর। বুধবার একটি আলোচনায় যোগ দিয়ে চ্যাথাম হাউস থেকে বেরচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল এক দল হলুদ পতাকাধারী। খলিস্তানিদের হয়ে স্লোগান দিতে থাকে তারা। অভিযোগ, সে সময় এক ‘হামলাকারী’ ছুটে গিয়ে একেবারে জয়শংকরের কনভয়ের সামনে চলে যায়। পুলিশের সামনেই ভারতের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। তখন অন্য বিক্ষোভকারীরাও তেরঙ্গা ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ গোটা বিষয় দেখে প্রাথমিক ভাবে হকচকিয়ে যায়। তারপর নিরাপত্তা আধিকারিকরা ওই ‘হামলাকারী’কে ধরে ফেলে। বিক্ষোভকারীদেরও সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। হামলার তীব্র নিন্দা করেছে নয়াদিল্লি। এবার মুখ খুলল ব্রিটেনও।
যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ''গতকাল বিদেশমন্ত্রীর ব্রিটেন সফরের সময় চ্যাথাম হাউসের বাইরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। ব্রিটেন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করলেও, প্রকাশ্য সভায় ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া বা ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণীয়।'' মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, ''আমরা আমাদের সমস্ত কূটনৈতিক অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।''
প্রসঙ্গত, খলিস্তানি নিয়েই কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের দ্রুত অবনতি হয়েছে সম্প্রতি। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে নয়াদিল্লির। বছর দুয়েক আগে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে তাণ্ডব চালিয়েছিল খলিস্তানিরা। এরপরই ‘খলিস্তানি সন্ত্রাস’ নিয়ন্ত্রণে তহবিল গড়ে ব্রিটেন। জানা গিয়েছে, নতুন তহবিলের জন্য প্রাথমিকভাবে ৯৫ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ভারতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে দাবি করেছিলেন, খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদ বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু এতদসত্ত্বেও খলিস্তানি কার্যকলাপ দমনে যে ব্রিটেন পুরোদস্তুর সফল নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল জয়শংকরের ঘটনায়। এই ধরনের ঘটনা রুখতে আগামিদিনে ব্রিটেন খলিস্তানি ইস্যুতে আরও কড়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
