shono
Advertisement

যুদ্ধং দেহি রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেনে পৌঁছল ব্রিটেন ও কানাডার কমান্ডো বাহিনী

ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া।
Posted: 09:53 AM Jan 22, 2022Updated: 09:53 AM Jan 22, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) সীমান্তে দ্রুত বাড়ছে রুশ সেনার জমায়েত। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে মিলেছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত! এহেন পরিস্থিতিতে কিয়েভের কিয়েভের পাশে দাঁড়াল ব্রিটেন ও কানাডা। রুশ বাহিনীকে রুখতে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের হাতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল তুলে দিয়েছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের ফৌজকে মদত দিতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে কানাডা বলেও খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমেরিকায় 5G চালু হলে বিপর্যস্ত হতে পারে বিমান পরিষেবা! হুঁশিয়ারি উড়ান সংস্থাগুলির]

গত কয়েক মাস ধরেই ক্রিমিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তের কাছে একাধিক জায়গায় জমায়েত ক্রমে বাড়িয়ে চলেছে রুশ সেনাবাহিনী। উপগ্রহ থেকে তলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, ক্রিমিয়ার একটি রুশ সেনাঘাঁটিতে শয়ে শয়ে সাঁজোয়া গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে কয়েকশো ট্যাঙ্ক, কামান, রকেট লঞ্চার ও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত যে চিত্র পাওয়া গিয়েছে তাতে স্পষ্ট ওই সেনঘাঁটিতে তুঙ্গে সমরসজ্জা। অথচ, গত অক্টোবর মাসের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল যে সেনঘাঁটিটি প্রায় ফাঁকা। বিপদ আরও বাড়িয়ে ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। এর অন্যথা হলে সামরিক পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পৌঁছেছে ৩০ জনের ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী। একইসঙ্গে প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী হাতিয়ার ও পাঠিয়েছে লন্ডন। ভবিষ্যতে আরও হাতিয়ার পাঠান হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।        

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ইস্টনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া। কিয়েভের হতে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছে বাল্টিক দেশগুলি। বলে রাখা ভাল, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে। সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলে আগেই ‘গণহত্যা’র অভিযোগ তুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে, রুশ হামলা ঠেকাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেন্সকির সঙ্গে ইতিমধ্যেই ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। একইসঙ্গে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও ফোনালাপ সেরেছেন তিনি। নিজের বার্তায় বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিদেশি আগ্রাসনের পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন। সেই সঙ্গে সরাসরি হুঁশিয়ারিও দিলেন পুতিনকে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভ দাবি করেছিলেন, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।

[আরও পড়ুন: সিরিয়ায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট, কারাগার হামলায় মুক্ত একাধিক কুখ্যাত জেহাদি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement