সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র ১২ দিন পর তিন বছর পূর্ণ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সব কিছুই জারি রয়েছে। একে অপরকে এক চুল জমি নারাজ যুযুধান দুপক্ষই। এই লড়াই থামাতে মধ্যস্থতার কাজ করছে আমেরিকা। কিন্তু একের পর শর্ত আরোপ করে চলেছে কিয়েভ-মস্কো। রাশিয়ার কার্স্কে ঢুকে ব্যাপক আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। কিন্তু এবার খবর, যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট হয়ে ওঠা কার্স্ক রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তার জন্য বেশ কিছু শর্ত রেখেছেন তিনি।
আর কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। যুদ্ধের 'নীল নকশা' নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। তার আগেই মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের মুখোমুখি হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কার্স্ক নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে বা রাশিয়ার থেকে অন্য কোন অঞ্চল চান তা জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, "আমি জানি না, আমরা দেখব। আমাদের কাছে সব অঞ্চলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনও অগ্রাধিকার নেই। আমরা রাশিয়াকে কার্স্ক দিয়ে দিতে পারি। কিন্তু আমার কিছু শর্ত রয়েছে। আমাদের যে জায়গাগুলো রাশিয়া দখল করে রেখেছে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে পুতিনকে। পাশাপাশি দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।"
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে হঠাৎই রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। তাঁদের সঙ্গে লড়াই করতে রীতিমত বেগ পেতে হয় রুশ ফৌজকে। তাই 'বন্ধু' মস্কোর সাহায্যে এগিয়ে আসেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। প্রায় ১২ হাজার সেনা পাঠান তিনি। কিন্তু জেলেনস্কির সেনার মারে তারাও ধরাশয়ী হয়ে পড়েছে কার্স্কে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ভূখণ্ড ফিরে পেতে কি জেলেনস্কির শর্ত মেনে নেবেন পুতিন? যদিও তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইউক্রেন হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে কোনও সমঝোতা করতে পারে। আবার সেটা নাও হতে পারে। আবার এমনটাও হতে পারে, ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হয়ে গেল।” ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় জোর চর্চা। কিন্তু এদিন জেলেনস্কির এহেন মন্তব্যে স্পষ্ট সহজে কোনও জমি তিনি রাশিয়াকে ছেড়ে দেবেন না।
