সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিয়েভে (Kyiv) ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী। তবু বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়তে রাজি নয় ইউক্রেন। রুশ বাহিনীকে পালটা মার দিচ্ছে কিয়েভের বাহিনী। ইউক্রেন (Ukraine) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এক হাজার রুশ সেনাকে খতম করেছে তারা। সে দেশের রাস্তায় রাস্তায় জোরদার লড়াই চলছে।
দেশকে রক্ষা করতে মরিয়া ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) সেনা। তাই পুতিনের বিশাল বাহিনীর সামনেও বুক চিতিয়ে লড়াই করে চলেছে তারা। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটি, সম্পত্তির দখল নিয়েছে তারা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক সেনা ক্যাম্প। তবে প্রত্যাঘাত করছে ইউক্রেনও। শুক্রবার সন্ধেয় ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে এক হাজার রুশ সেনাকে হত্যা করেছে তারা। কিয়েভের দাবি, “রাশিয়ার এক হাজার সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে কোনও সংঘাতে এত ক্ষতি রাশিয়ার হয়নি।” সূত্রের খবর, রাশিয়ার ৮০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে কিয়েভ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল শেষ প্রতিরোধ! ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকল রুশ বাহিনী]
এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কিয়েভে লড়াই চলছে। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তার ধারে নাগরিকদের দৌড়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। উত্তর কিয়েভের ওবলনস্কি শহর থেকে ছোট-বড় বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। কিয়েভের প্রাণকেন্দ্রেও ঘটেছে বিস্ফোরণ। শহরের বাসিন্দারা মেট্রো স্টেশনে আত্মগোপন করে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউক্রেনের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ইউক্রেনীয় সেনাকে ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই বার্তা ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
এদিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উচিৎ শিক্ষা দিতে বৈঠকে বসেছে ন্যাটো গোষ্ঠী। রুশ বাহিনীর আগ্রাসনের জবাব কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বৈঠকে। এদিকে চাপ বাড়াতে রুশ প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এদিকে পোলান্ড তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার বিমানের জন্য। সবমিলিয়ে ইউরোপের সমীকরণ ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে।