সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ জারি রয়েছে সমানতালে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই ঘরের অন্দরে বিপাকে পড়লেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফের বিরুদ্ধে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৮০০ কোটি টাকা) দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেল ইউক্রেনে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই আধিকারিকের নাম আন্দ্রি ইয়ারমাক। প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রধান আধিকারিক তিনি। খোদ জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিক তথা সহযোগীর বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইউক্রেনের দুর্নীতি দমন শাখা। জেলেনস্কির সহযোগী নিজেই ট্রেলিগ্রামে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, ইয়ারমাকের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ওই আধিকারিক সমস্ত আইনি প্রক্রিয়তায় সহযোগিতা করছেন। ওনার উকিলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। এই ঘটনা সামনে আসতেই ইউক্রেনের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরাট এই দুর্নীতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির যুক্ত থাকারও সন্দেহ করছে বিরোধী শিবির। সবমিলিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের মাঝে এই ঘটনায় যথেষ্ট বিপাকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
উল্লেখ্য, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করলেও বিশেষ সমাধানের রাস্তা বের হয়নি। দু’দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু তা-ও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি প্রস্তাব পেশ করেছেন। সেই প্রস্তাবের একাধিক শর্তে আপত্তি তুলেছেন জেলেনস্কি। দফায় দফায় চলছে শান্তি আলোচনা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আমেরিকার সঙ্গে এই শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের তরফে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন প্রভাবশালী ওই আধিকারিক আন্দ্রি ইয়ারমাক। এবার তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ বিপাকে ফেলল জেলেনস্কিকেও।
