সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্টোবরেই হওয়ার কথা ২০তম চিনা কমিউনিস্ট কংগ্রেস। তার আগেই কি চিনে (China) সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে? গৃহবন্দি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)? এমনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় সৃষ্টি হল চাঞ্চল্য। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে চিনের সংবাদমাধ্যম মুখ খোলেনি। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের পক্ষে এই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবারই ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চিনের এক আদালত সেদেশের এক প্রাক্তন নিরাপত্তা আধিকারিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করার। এরপরই জোরাল হয় জিনপিংয়ের গৃহবন্দি হওয়ার গুঞ্জন। এমনও শোনা যাচ্ছে, চিনের ৬০ শতাংশ বিমানের উড়ানই বাতিল হয়েছে। এবং সেজন্য কোনও কারণও দেখানো হয়নি। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিনা লেখক গর্ডন চ্যাং।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর খোঁচা পাকিস্তানের, ‘জঙ্গিদের মদতদাতা’, পালটা দিল ভারত]
উল্লেখ্য, শেষবার প্রকাশ্যে জিনপিংকে দেখা গিয়েছিল উজবেকিস্তানের এসসিও মঞ্চে। গত ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে শুরু হয় দু’দিনের ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সম্মেলন। কূটনীতিকদের একাংশ আশা করেছিলেন, চমক দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন মোদি ও জিনপিং। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং দুই রাষ্ট্রনায়ককে দেখা যায় কার্যত মুখ ফিরিয়ে থাকতে। শোনা যাচ্ছে, ওই বৈঠক থেকে দেশে ফেরার পরই নাকি গৃহবন্দি করা হয়েছে জিনপিংকে।
কিন্তু আপাতত সবই জল্পনার কুয়াশাবন্দি। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইট করেও এই গুঞ্জনের কথা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘নতুন এই গুঞ্জনকে খতিয়ে দেখা দরকার। বেজিংয়ে কি গৃহবন্দি হয়েছেন শি জিনপিং? সম্প্রতি জিনপিং যখন সমরখন্দে ছিলেন, তখনই নাকি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা তাঁকে পার্টির আর্মি ইন চার্জ থেকে সরিয়ে দেন? এরপরই জিনপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। গুজব তেমনই শোনা যাচ্ছে।’