সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতবিক্রমে পর্যুদস্ত হয়ে সংঘর্ষবিরতির মিনতি করে পাকিস্তান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় আপাতত সেই দাবি মেনে নিয়েছে ভারত। এই শান্তিপর্বকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। "যারা সংঘাত থামানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাই", বললেন তিনি।
রাষ্ট্রসংঘের উপ-মহাসচিব ফারহান হকও জানান, আমরা সমস্ত বিষয়ে নজর রাখছিলাম। সংঘাত থামানোর সমস্ত প্রচেষ্টা স্বাগত জানাই। শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানান, দুপুর ৩টে ৩৫ নাগাদ সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে পাকিস্তান ফোনে যোগাযোগ করে। এরপর ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ করেছে। আগামী ১২ মে ফের সামরিক প্রধানরা বৈঠক করবেন। ওইদিনই পরবর্তী পদক্ষেপ জানা যাবে।
ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।” আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে লাগাতার পিছিয়ে পড়ছিল পাকিস্তান। মুখ বাঁচাতে ঘুরপথে আমেরিকার দ্বারস্থ হয় শরিফ প্রশাসন। এরপরই আসরে নামে আমেরিকা। বস্তুত পাকিস্তানের অনুরোধে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন মার্কিন প্রশাসন। সূত্রের দাবি, গত ৪৮ ঘণ্টায় লাগাতার দুদেশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছে মার্কিন প্রশাসন। দফায় দফায় আলোচনা করেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও-ও। তারপরই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় বলে দাবি আমেরিকার।
এদিকে সমাজমাধ্যমে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি লিখেছেন, “আজ ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি এবং সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “ভারত ধারাবাহিকভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপোষহীন অবস্থান বজায় রেখেছে। ভবিষ্যতেও তার অন্যথা হবে না।”
