সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়বার মার্কিন মুলুকের মসনদে বসার পর থেকেই অভিবাসন নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দলে দলে অবৈধ অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। এরপরে তাঁর নজর ঘুরেছে বৈধ অভিবাসন কমানোর দিকে। যা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মার্কিন ফেডেরাল এজেন্সি গ্রিন কার্ডের ইন্টারভিউ চলাকালীনই গ্রেপ্তার করছে আবেদনকারীদের। গত সপ্তাহ ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা যাচ্ছে, বহু দম্পতি গ্রিন কার্ড ইন্টারভিউয়ের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে কারও স্বামী, কারও স্ত্রী মার্কিন নাগরিক। কিন্তু ইন্টারভিউ শেষ হতেই ফেডেরাল এজেন্টরা তাঁদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করে নেন বলে দাবি। 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'-কে কোনও কোনও দম্পতি ও তাঁদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই তাঁরা করেছিলেন। প্রয়োজনীয় নথি জমা করা কিংবা ফি দেওয়া- সবই দেওয়া হয়। তবুও ইন্টারভিউ শেষ হতেই আচমকা গ্রেপ্তার করা হতে থাকে মার্কিন নাগরিকদের বিদেশি স্বামী বা স্ত্রীকে।
বিভিন্ন শহরের অভিবাসন আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের গ্রেপ্তারির ঘটনা বেড়েই চলেছে। কেবলমাত্র সান ডিয়োগো থেকেই গত সপ্তাহদুয়েকের মধ্যে বেশ কয়েকজন দম্পতির ক্ষেত্রে এমন গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটেছে। দাবি, ওই দম্পতিদের ক্ষেত্রে বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী নাকি ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করে গিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্তদের দাবি, আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করার পরও গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। অথচ এঁদের কেউ অবৈধ অভিবাসন করেননি। কারও বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ডও নেই। তাহলে কেন এভাবে গ্রেপ্তার করা হবে, উঠছে প্রশ্ন।
স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। গ্রিন কার্ড লটারি থেকে ভারতের নাম বাদ পড়ায় এমনিতেই চাপে এদেশের মানুষ। ভারত থেকে আমেরিকায় যাঁরা অভিবাসন চান তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে খুব কম পথ অবশিষ্ট রয়েছে। ট্রাম্পের সময়কালে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ির কারণে বেঁচে থাকার সুযোগগুলিও সঙ্কুচিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
