সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে থাকা টিআরএফকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও জানান, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, টিআরএফকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে পাকিস্তান। তবে এবার টিআরএফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ওয়াশিংটন।
২২ এপ্রিলের নরসংহারের পর দায় স্বীকার করে লস্করের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’। কিন্তু কয়েকঘন্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহারও করে দেয় টিআরএফ। তবে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর প্রথমে টিআরএফের তরফে দায় স্বীকার করা ও পরে তা অস্বীকার করার নেপথ্যেও পাকিস্তানের হাত দেখছেন তদন্তকারীরা। এবং পুরোটাই হয়েছে পরিকল্পিত ছকে। তারপরে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে সেই প্রস্তাবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টিআরএফের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
পাকিস্তান এবং চিনের আপত্তিতেই নিন্দাপ্রস্তাবে টিআরএফের নাম রাখা হয়নি, এমনটাই ধারণা ছিল কূটনৈতিক মহলের। দায় অস্বীকারের ঘটনাকেই হাতিয়ার করে পাকিস্তান যুক্তি দেয়, এই হামলায় যে টিআরএফ যুক্ত, এমন কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে টিআরএফকে কোনওভাবেই দায়ী করা যায় না। কুখ্যাত এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে বাঁচাতে পাকিস্তানের এই তৎপরতায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, কেন টিআরএফকে বাঁচাতে চাইছে ইসলামাবাদ?
তবে পাকিস্তানের শত প্রতিরোধ সত্ত্বেও এবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় ঢুকে পড়ল টিআরএফ। মার্কিন বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে এফটিও এবং এসডিজিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' উল্লেখ্য, পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের সখ্য একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। আমেরিকার সাহায্য পাওয়ার আশায় ট্রাম্পের নাম নোবেল পুরস্কারের জন্যও সুপারিশ করেছে ইসলামাবাদ। গত মাসে আমেরিকা সফরে যান পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। সেখানে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও টিআরএফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল আমেরিকা।
