সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হল ইজরায়েলের মার্কিন দূতাবাস (US Embassy)। সোমবার সকালে দূতাবাসের উপর আছড়ে পড়ে ইরানের ছোড়া মিসাইলের অংশ। তার জেরে এদিনের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মার্কিন দূতাবাস। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইরান যদি আমেরিকার কোনও পরিকাঠামোকে নিশানা করে তাহলে বড়সড় ফল ভুগতে হবে। তারপরেই ইরানের মিসাইল আছড়ে পড়ল মার্কিন দূতাবাসের উপর!
টানা ৪দিন ধরে একে অপরের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান-ইজরায়েল (Israel Iran Conflict)। রবিবার সকাল থেকে শুরু করে সারারাত আকাশপথে হামলা চলেছে। তার জেরে ইরানে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৩০। ইজরায়েলেও ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এহেন রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিতে সোমবার ইরানের অস্ত্র উৎপাদনকারী ভবন এবং বিদেশমন্ত্রকের ভবনে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। পালটা হামলা শুরু করেছে ইরানও। যদিও ইরানের ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে ইজরায়েলের আয়রন ডোম সিস্টেম। তা সত্ত্বেও কয়েক মিসাইল সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে।
সোমবার সকালে সেরকমই একটি মিসাইল আছড়ে পড়ে তেল আভিভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সংলগ্ন এলাকায়। ইজরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দূতাবাসের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীদের হতাহতের সম্ভাবনা নেই। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ইরাক-সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে মার্কিন কর্মীদের সরানো হচ্ছিল। শুক্রবার ইজরায়েলি হামলার পরে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরানে ইজরায়েলি হামলার নেপথ্যে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু ইরান যদি মার্কিন নাগরিক বা পরিকাঠামোকে নিশানা করে তাহলে বিরাট ফল ভুগতে হবে গোটা দেশকে। এই হুঁশায়ারি সত্ত্বেও মার্কিন দূতাবাস সংলগ্ন এলাকায় নিশানা করে মিসাইল হামলা করেছে ইরান। এবার কি তাহলে ইরানে হামলার পরিকল্পনা করবে আমেরিকাও?
