সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেফ্রি এপস্টেইন। কুখ্যাত এই যৌন অপরাধীর একটি ভিডিও প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই ভিডিওয় তাঁকে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। 'নিউ ইয়র্ক পোস্ট'-এর দাবি অনুযায়ী, ন্যায় বিভাগের ওয়েবসাইটে ভিডিওটি প্রকাশ করার সময় তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা করা হয়নি। পরে বিতর্ক ঘনাতে ভিডিওটি সরিয়েও দেওয়া হল।
১২ সেকেন্ডের হাড়হিম ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, পক্ককেশ এক ব্যক্তি কমলা রঙের জাম্পস্যুট পরে আত্মহননের চেষ্টা করছেন। সময় দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট। সকাল ৪টে ২৯ মিনিট। এর প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরই এপস্টেইনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁর সেল থেকে। তবে 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'-এর দাবি, ভিডিওটি আসলে 'ফেক'। ফ্লোরিডার এক 'ষড়যন্ত্র বিশেষজ্ঞ' তদন্তকারীদের সতর্ক করলে শেষপর্যন্ত তা সরিয়ে নেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত মার্কিন ন্যায় বিভাগের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে মার্কিন ধনকুবের এবং নাবালিকা পাচার ও ধর্ষণের মামলায় বিচারাধীন বন্দি এপস্টেইন কীভাবে আত্মঘাতী হলেন, তা নিয়ে বিতর্ক সেই সময় থেকেই ঘনিয়েছিল৷ ধর্ষণ ও নাবালিকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত এপস্টেইনের বিচার চলছিল। ৬৬ বছর বয়সি এই ধনকুবেরকে আদালত জামিন দিতে অস্বীকার করে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে এপস্টেইনের ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হত। তার আগেই তিনি নিজেকে শেষ করে দেন বলে জানা যায়।
এপস্টেইনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর আচমকা মৃত্যুতে তাঁরা পার পেয়ে গেলেন বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তবে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই আশ্বাস দেয়, এপস্টেইন আত্মহত্যা করলেও তদন্তের কাজ থেমে থাকবে না। পরে দেখা যায়, দাবিটি সত্য। এই মামলায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, মাইকেল জ্যাকসন-সহ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও নাম জড়িয়েছে। নতুন করে মসনদে ফেরার পর তিনি নিজের নাম এই মামলা থেকে সরাতে চেয়েছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এর মধ্যেই এপস্টেইনের ফাইল থেকে ট্রাম্পের ছবি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। পরে বিতর্ক শুরু হতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা ফের ফিরিয়ে আনা হয়।
