সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো নিয়ে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trump Tariff On India) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ হল মার্কিন সংসদে। শুক্রবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের তিনজন সদস্য ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন। তাঁদের মতে, এই শুল্ক বেআইনি। এই শুল্কের জেরে মার্কিন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা দুপক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
ডেবোরা রস, মার্ক ভিসে এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজা কৃষ্ণমূর্তি-এই তিন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি যৌথভাবে প্রস্তাব পেশ করেছেন। নিজের কেন্দ্র নর্থ ক্যারোলিনার পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে ডেবোরা রস জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে গভীরভাবে যুক্ত নর্থ ক্যারোলিনা। ট্রাম্পের শুল্কবাণে নর্থ ক্যারোলিনার অর্থনীতি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজা কৃষ্ণমূর্তির কথায়, "আমেরিকার সুরক্ষা বৃদ্ধির পরিবর্তে মার্কিন সাপ্লাই লাইনে আঘাত হানছে ট্রাম্পের শুল্কবাণ। পণ্যের জোগান কমছে, ফলে মার্কিন কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ভারতীয় জোগানের অভাবে মার্কিন বাজারে বাড়ছে জিনিসের দাম।" তাঁর মতে, বর্তমানে ভারতের উপর যে বিপুল শুল্ক রয়েছে সেটা প্রত্যাহার করলেই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে উন্নতি হবে। সবমিলিয়ে তিন জনপ্রতিনিধির বক্তব্য, মার্কিন আমজনতা এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার। এহেন পরিস্থিতিতে সস্তায় ভারতীয় পণ্যের জোগান অনেক কমে গিয়েছে। ফলে জিনিসের দাম আরও বাড়ছে, ভুগছেন মার্কিন নাগরিকরা।
উল্লেখ্য, ভারতের উপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। তারপর রুশ তেল কেনার 'শাস্তি' হিসাবে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপে ভারতীয় পণ্যের উপর। প্রথম থেকেই এই শুল্কনীতির বিরোধিতা করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন আদালতে মামলাও চলছে ট্রাম্পের এই 'বেআইনি' শুল্কনীতির বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মার্কিন শুল্ককোপে দেশের একাধিক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বস্ত্রের পাশাপাশি চর্মশিল্প, জুতো, রাসায়নিক, কৃষিজাত পণ্যের ব্যবসায়ীরাও আমেরিকায় রপ্তানি কমিয়েছেন। এসব পণ্যের অভাবে এবার বিপাকে পড়ছেন মার্কিন নাগরিকরাই।
