সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গলছে সাবমেরিন কোন্দলের বরফ। ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
[আরও পড়ুন: উইঘুর নির্যাতনে সরব বিশ্ব, এবার চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ৪৩টি দেশের]
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দ্বিপাক্ষিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। একইসঙ্গে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ন্যাটো গোষ্ঠীর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রান্সের মান ভাঙাতে মরিয়া আমেরিকা। কারণ, প্যারিসের হাত থেকে একপ্রকার সাবমেরিন বিক্রির বরাত ছিনিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন। আর এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দেখা দেয় চরম কূটনৈতিক টানাপোড়েন। কিন্তু, ইউরোপে রাশিয়া ও চিনের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অনুপ্রবেশ রুখতে আমেরিকার অন্যতম সহযোগী ফ্রান্স। তাই এবার সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। হাতিয়ারের বাজারে মুনাফা বাড়াতে কয়েকশো কোটি ডলার মূল্যের ওই চুক্তি ফরাসি অস্ত্রনির্মাতাদের কাছে বড়সড় সুযোগ ছিল। কিন্তু গত মাসে আচমকা ওই চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। কারণ, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশটি। যার ফলে আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক আণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ চলে আসছে অস্ট্রেলিয়ার হাতে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই ফরাসি ডিজেল চালিত সাবমেরিন কিনতে নারাজ দেশটি।
এভাবে মুখের গ্রাস ছিনিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন দিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভের মুখে পড়েছে আমেরিকা। আমেরিকার এই ভূমিকাকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারা’র শামিল বলে উল্লেখ করেছে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টানাপোড়েন আরও বাড়ল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরত আসারও নির্দেশ দিয়েছিল ফ্রান্স। এবার সেই বরফ কিছুটা হলেও গলছে।