সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধ একেবারে চরম আকার নিয়েছে সুদানে (Sudan)। সেনা এবং আধাসেনা বাহিনীর এই যুদ্ধে যেন একে অপরের শক্তি আর অস্ত্রভাণ্ডার দেখাতেই ব্যস্ত। গোটা দেশের চেহারাই গিয়েছে বদলে। রাস্তায় বেরলে শুধুই সেনাবাহিনী, ট্যাঙ্ক, রাইফেল, রক্তের ছবি দেখে শিউরে উঠছেন দেশবাসী। ভয়ে গৃহবন্দি সকলে। দিন তিনেকের মধ্যেই সুদানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫। ১৮০০’র বেশি মানুষ জখম। পরিস্থিতি দেখে চিন্তিত রাষ্ট্রসংঘ। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken) ফোনে সুদানের সেনাপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ বিরতির বার্তা দিয়েছেন।
আধাসেনাকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাওয়া নিয়ে সুদানে অশান্তির সূত্রপাত। সেনাপ্রধানের সঙ্গে তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড আধা সামরিক বাহিনীর প্রধানের তুমুল দ্বন্দ্ব থেকে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি। প্রায় রাতারাতিই তার ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দিনরাত গোলাগুলির শব্দ। আকাশপথেও চলছে হামলা, পালটা হামলা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে আকাশ আর রাস্তায় পড়ে মৃতদেহ। এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, ”বন্দুক আর শেলের শব্দ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না। আমাদের বাড়ির নিচে তিনজন জখম হয়েছেন। কিন্তু আমরা তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারছি না। কীভাবে মানুষ বাঁচবে?”
[আরও পড়ুন: ‘এটা ভারত নয়, পাঞ্জাব’, মুখে তেরঙ্গা আঁকা তরুণীকে বাধা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে]
রাজধানী খার্তুমকে কেন্দ্র করেই চলছে লড়াই। সেনা আর আধাসেনা এখন দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াইয়ে নেমেছে। সেনার দাবি, খার্তুমের (Khartoum) দখল তাদের হাতেই। পালটা শক্তিশালী আধাসেনা বাহিনীরও দাবি, রাজধানী শহরের পথঘাট তারা দখল করে ফেলেছে। আফ্রিকার দেশটির এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত রাষ্ট্রসংঘ। সেখানে কর্মরত রাষ্ট্রসংঘের ৩ কর্মীর মৃত্যুতে নিরাপত্তার কথা ভেবে সে দেশে খাদ্য সরবরাহের যে কর্মসূচি চলছিল, তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ কয়েকটি হাসপাতালও।
[আরও পড়ুন: ‘গ্রেপ্তার না হলে আমাকে টিকতে দিত না’, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণর গ্রেপ্তারির পর দাবি বাবার]
এদিকে, সুদানের গৃহযুদ্ধ থামিয়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন মার্কিন বিদেশসচিব (US Secreatry of State) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সূত্রের খবর, সোমবার তিনি সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব সংঘর্ষে ইতি টেনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন। রাষ্ট্রসংঘ ও অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলির প্রতিক্রিয়ায় আদৌ গৃহযুদ্ধের অভিশাপ থেকে সুদান মুক্ত হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।