shono
Advertisement
Vladimir Putin

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি পুতিন! ইউক্রেনের উপর চাপালেন একগুচ্ছ শর্ত

ট্রাম্প প্রথম থেকে ইউক্রেনকেই সমঝোতার পথে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 01:20 PM Mar 08, 2025Updated: 01:20 PM Mar 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি যেতে রাজি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! এনিয়ে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা বসতে আগ্রহী তিনি। তবে এত সহজে সবটা হবে না। ইউক্রেনের উপর বেশ কয়েকটি শর্ত চাপানো হবে। সেগুলো মানলে তবে আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করবেন পুতিন। আর এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করতে হবে আমেরিকাকে। এমনটিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই হোয়াইট হাউসের রুশ নীতি বদলে ফেলেছেন। যে কারণে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরেই ট্রাম্পের রুশ-নীতি নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। প্রথম থেকে ইউক্রেনকেই সমঝোতার পথে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে জেলেনস্কির কাজিয়ায় হতবাক বিশ্ব। তারপর থেকে কিয়েভের বিরুদ্ধে তিনি যেভাবে একের পর এক পদক্ষেপ করছেন তাতে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধের ময়দানে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে মস্কো। সমস্ত কিছু দেখে মুচকি হাসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। আমেরিকা মাথার উপর থেকে হাত তুলে নেওয়ায় রণক্ষেত্রে সংকটে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ক্রেমলিন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি পুতিন। যদি জেলেনস্কি সব শর্ত মেনে নেন তাহলে সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে এই শর্তগুলো কী হবে তা এখনও জানা যায়নি।

এই প্রসঙ্গে গতকাল ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, "রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করা সহজ। তাদের সঙ্গে সমঝোতা পথে হাঁটা সহজ। কিন্তু ইউক্রেনের সঙ্গে কাজটা বেশ কঠিন।" এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এও বলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ও, তাহলে তারা একটি শান্তিরক্ষা মিশন স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। সেই মিশনে কোন কোন দেশ থাকবে, সেটাও চুক্তির শর্তের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে ক্রেমলিন। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনকে আর সামরিক সাহায্য করবে না আমেরিকা। এমনকী কিয়েভকে আর কোনও গোয়েন্দা তথ্য না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। ফলে প্রবল চাপে পড়েছেন জেলেনস্কি। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছেন পুতিন।

প্রসঙ্গত, তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই জেলেনস্কিদের পাশে ছিল আমেরিকা। দেশে আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও একাধিকবার ইউক্রেনের জন্য নানারকম সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সহায়তা নিয়ে ওয়াশিংটনের অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একাধিক দেশে মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতি সাহায্য বহাল ছিল। এবার ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যেতেই ট্রাম্প কিয়েভের প্রতি সম্পূর্ণ খড়গহস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এখনও জেলেনস্কি সুর নরম করলে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি যেতে রাজি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!
  • এনিয়ে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা বসতে আগ্রহী তিনি। তবে এত সহজে সবটা হবে না।
  • ইউক্রেনের উপর বেশ কয়েকটি শর্ত চাপানো হবে। সেগুলো মানলে তবে আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করবেন পুতিন।
Advertisement