সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায় নিয়ে সরব চিন। সরাসরি নাম না করলেও লাদাখকে নিজেদের বলে দাবি করল বেজিং। একই সঙ্গে লাদাখ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তকে একতরফা ও বেআইনি বলেও তোপ দেগেছে কমিউনিস্ট দেশটি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনও কিছুর বদল হবে না। ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিমাংশ চিনেরই থাকবে।” লাদাখ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মাও নিং বলেন, “ভারত একতরফা ও বেআইনিভাবে লাদাখকে পৃথক করেছে। চিন কখনও তথাকথিত কেন্দ্রশাসিত লাদাখ অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয় না।”
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় হিন্দু মন্দিরে হামলা, গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে অ্যালবানিজ সরকার, বললেন রাষ্ট্রদূত ফিলিপ]
গত মঙ্গলবার কাশ্মীর ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় চিনের (China) বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রকে। যার উত্তরে তিনি বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে ভারতের ও পাকিস্তানের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসতে হবে। রাষ্ট্রসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা দরকার। কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতাবস্থা আনা প্রয়োজন। এই বিষয়ে চিনের অবস্থান আগে যা ছিল এখনও তাই আছে।”এর পর প্রকাশ্যে এসেছে লাদাখ নিয়ে চিনের মতামত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলোতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে ২০২১ সালে প্যাংগং (Pangong) থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে।