সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দ্রুত কমুক। এমনটাই চায় আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন।
এদিনও রাত নামতেই ফের জম্মু ও পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় ভারী গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা শুরু করে পাকিস্তান। পালটা পাকিস্তানের হামলা ব্যর্থ করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থানের একাধিক জায়গায় হামলা চালানো পাক ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয় ভারতের তরফে।
তার মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে লেভিট বলেন, "বিষয়টি আমাদের স্টেট সেক্রেটারি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও দেখছেন। প্রেসিডেন্ট চান, যত দ্রুত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমুক। তিনি জানেন যে, দুই দেশের মধ্যে সমস্যা বহুদিনের। এমনকী তিনি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই সমস্যা চলছে। তবে দুই দেশের প্রধানদের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভালো। বিদেশ সচিব মার্কো দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন। এই দ্বন্দ্ব যাতে শেষ হয়, সেই চেষ্টা তিনি করছেন।'
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার প্রত্যুত্তর হিসেবেই ভারত 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়েছে। তারপরও কিন্তু পাকিস্তানের 'শিক্ষা' হয়নি। বরং প্রায়ই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আক্রমণ চালিয়েছে। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, আমেরিকা যতই বলুক, পাকিস্তান যে নীতি নিয়েছে, তাতে উত্তেজনা কমানোর কোনও চেষ্টা তারা করছে না। তাহলে ভারতই বা কেন উত্তর দেবে না?
তবে এটাও ঠিক, এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, "এটা আমেরিকার কোনও বিষয় নয়।” তিনি বলেছিলেন, আমরা যেটা করতে পারি সেটা হল ওদের উত্তেজনা প্রশমিত করতে চেষ্টা করা। কিন্তু এমন সংঘাতে জড়াব না যা আমাদের বিষয় নয়। এর সঙ্গে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা ভারতকে বলতে পারি না অস্ত্র নামিয়ে রাখতে। পাকিস্তানকেও বলতে পারি না। সুতরাং কূটনৈতিক স্তরে বিষয়টুকুই আমরা দেখতে পারি।” উল্লেখ্য, হামলা শুরুর পরেই পাকিস্তানকে শান্ত হতে নির্দেশ দিয়েছিল আমেরিকা।